নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিসি ক্যামেরা নামমাত্র। পুলিস সর্বত্র থাকে না। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ঝিমোয়। রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকদের কোনও নিরাপত্তাই নেই। এমনই অভিযোগ করছেন তাঁরা। যে বিভাগের জুনিয়ার ডাক্তারের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্যের চিকিৎসকমহল, সেই চেস্ট মেডিসিন বিভাগেরই একাধিক চিকিৎসক গুরুতর অভিযোগ তুললেন।
শুক্রবার তাঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা ডিআরটিবি’র গেট ছিল খোলা। ফলে যে বা যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তার বা তাদের পক্ষে ওই গেট দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা পিজিটি বলেন, সেমিনার রুমের জায়গাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। নির্জন। সেমিনার রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সেখানে যাওয়ার করিডরেও সিসি ক্যামেরা নেই বলেই তাঁদের অভিযোগ। সেমিনার রুম পেরিয়ে একেবারে কোনে ডিআরটিবি রুম। সেখান থেকে সিঁড়ি নেমে গিয়েছে নীচে আর জি কর-এর আর একটি গেটের দিকে। কেউ সচরাচর রাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন ওই অংশে ভয়ে যান না। মহিলা চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সম্ভবত আততায়ী ঘটনাটি ঘটিয়ে ওই গেট দিয়েই পালিয়ে গিয়েছে। তাঁরা জানান, হাসপাতালের শুধু ইমার্জেন্সি বা ক্যাজুয়ালিটি বাড়িই নয়, সমস্ত বাড়িতে রাতে নিরাপত্তা বলে কার্যত কিছুই নেই। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকলেও সাড়া পাওয়া যায় না। ঘুমায় তারা। এত বড় ক্যাম্পাসের মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা মূলত আউটডোর গেট এবং ইমার্জেন্সি গেট নির্ভর। ওয়ার্ডে কতটা ভয় আর আতঙ্ককে সঙ্গী করে তাঁরা ডিউটি করছেন, কেউ সেই খবর রাখে না। না হলে আর জি কর কেন, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে কলঙ্কের ছাপ ফেলে দেওয়া এমন একটা মারাত্মক ঘটনা ঘটে?