• খুনের আগে চরম শারীরিক নির্যাতন, ইঙ্গিত সুরতহালে, অভিযুক্ত কি চিকিৎসকের পূর্ব পরিচিত?
    বর্তমান | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও বরানগর: শেষ মুহূর্তে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন আর জি করের চিকিৎসক তরুণী। আর তাঁকে বশে আনতে অকথ্য শারীরিক অত্যাচারও চলেছিল। দু’চোখ, মুখ ও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত এবং সবমিলিয়ে অন্তত ১১টি জায়গায় ক্ষতচিহ্ন, সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। মুখে, ঠোঁটে, পেটে, গলায়, ডানহাতের অনামিকায়, বাঁ পায়ে, বাঁ-দিকের গোড়ালির কাছে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। একইসঙ্গে, ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটায় হাসপাতালের ভিতরের কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। অলিগলি সহ সমস্ত নকশাই ছিল আততায়ীর নখদর্পণে। ঘটনার পিছনে কোনও পুরনো আক্রোশ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিকে, সমন্বয়ের অভাবে তরুণীর দেহ বাড়িতে পৌঁছে গেলেও তাঁর বাবা-মা এসে পৌঁছন এক ঘণ্টা বাদে। তাঁরা হাসপাতাল থেকে জানতেই পারেননি যে মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশেই রওনা দিয়েছে পুলিস। তবে, তাঁরা আসার পরেই পানিহাটি শ্মশানের দিকে রওনা দেয় শববাহী গাড়ি। মধ্যরাতে কড়া পুলিসি প্রহরায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তরুণীর। এদিকে, আর জি করে তরুণীর সহপাঠী তথা সহকর্মীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সিসিটিভি এবং ২৪ ঘণ্টা প্রহরীর দাবিও তুলছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিন ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানসকুমার দে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ওঁর বাবা-মা সেলাই করে, চরম কষ্ট করে ওঁকে পড়িয়েছে। তার এই পরিণতি। দোষীদের শাস্তি না হলে দেশের আইনকানুন ও প্রশাসনের উপর থেকে সবার আস্থা উঠে যাবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)