‘ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে’, আরজি করকাণ্ডে জানালেন পুলিশ কমিশনার
এই সময় | ১০ আগস্ট ২০২৪
শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।কলকাতা পুলিশ কমিশনার এদিন বলেন, ‘পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফি করার সময় পরিবারের সদস্য এবং ছাত্ররা সাক্ষী হিসাবে ছিলেন। সারারাত ধরে তদন্ত এবং তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি।’ ধৃত তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি কমিশনার।
তবে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। বেশ কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তি অপরাধের সময় ঘটনাস্থলে ছিল বলেই জানান পুলিশ কমিশনার। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের কোনও কিছু লুকনোর নেই, সবই স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। পরিবারের সব দাবি আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত।’ অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, সেটাই পুলিশ চাইছে বলে দাবি করেন পুলিশ কমিশনার। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গেলে আরও কিছু তথ্য উঠে আসবে বলে জানান তিনি।
গতকলার ঘটনার পরেই আরজি কর হাসপাতালে নিজে যান কলকাতা পুলিশ কমিশনার। পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া নিজে খতিয়ে দেখেন তিনি। আজ সকাল আরজি কর হাসপাতালে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাও।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে আরজিকর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। মহিলার গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আগেই পাওয়া গিয়েছিল। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। তরুণীর পরিবারের তরফেও সেই দাবি করা হয়। মৃত চিকিৎসকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে, খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার। তবে, এই নৃশংস হত্যালীলা সঞ্জয় রায় নামে ধৃত ব্যক্তি একা ঘটিয়েছে, নাকি আরও কেউ যুক্ত ছিল, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।