এই সময়, ঝাড়গ্রাম: রাজ্যের জেলা সদরগুলিতে যে শপিং মলের তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে আশ্বাস দিলেন তিনি। শুক্রবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা ঘোষণা করেন, সেই শপিংমলের দু’টি তলা শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য রাখা হবে। এ ছাড়াও ঝাড়গ্রামে একটি টাইগার সাফারি হবে বলেও ঘোষণা করে মমতা।এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজ্যের ২৩টি জেলার হেড কোয়ার্টারে এক একর করে জমি নিচ্ছি। সেখানে যে যে মল হবে, তাতে নীচের দু’টো তলা সম্পূর্ণ ভাবে থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য। বাকি তিনটি তলায় বিভিন্ন দোকান থাকবে। আমরা জমিটা দেবো, বিল্ডিং বেসরকারি সংস্থা তৈরি করবে। একটা সিনেমা হলও সেখানে থাকবে।’
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালা জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা জমির খোঁজ পেয়েছেন। এদিন ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে এসে মুখ্যমন্ত্রী ‘সৃষ্টিশ্রী’ স্টল থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন। এদিন গান্ধীজির নেতৃত্বে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের দিনটিও স্মরণ করা হয়।
বর্তমানে রাজ্যের পর্যটন মানটিত্রে ঝাড়গ্রামের নাম অত্যন্ত উজ্জ্বল। সেই প্রসঙ্গে মমতা এ দিন বলেন, ‘আপনাদের এখানে ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা আছে। পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে ৬৪ একর জমিতে ১০ কোটি টাকায় একটা টাইগার সাফারি চালু করা হবে।’
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে আমরা এ রকম একটা সাফারি করেছি। এখানেও তেমনই হবে।’ অদিবাসীদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজারহাটে আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পং জেলাতেও তেমনই আদিবাসী ভবন তৈরি করা হবে।’
তিনি জানান, অলচিকি হরফের অভিধান তৈরি করা হয়েছে। ৬৬টি বাংলা মাধ্যম স্কুলে বাংলা ও সাঁওতালি দুই মাধ্যমেই পড়াশোনা করা যাবে। ডব্লুউবিসিএস পরীক্ষাতেও সাঁওতালি ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।