আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর, একজনকে আটক করা হয়েছে। তেমনটাই খবর সূত্রের। জানা গিয়েছে, ঘটনায় অন্তত ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতেই আটক করা হয়েছে একজনকে। বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা না গেলেও, জানা গিয়েছে আটক যুবক বহিরাগত। লালবাজার সূত্রের খবর, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, ঘটনার দিনে ওই যুবক সেমিনার হলে ছিলেন। তবে ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বহিরাগত কেউ কী করে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ল, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ। শুক্রবার রাতেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে, এমন ইঙ্গিতই মিলেছে। তরুণী চিকিৎসকের গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই প্রাথমিক অনুমান, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। শরীরের মোট দশ জায়গায় ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গেও ক্ষত পাওয়া গিয়েছে বলে খবর সূত্রের।
শুক্রবারই মৃতের পরিবারের তরফে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। গতকালই, ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে।