• সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে এক হওয়ার শপথ নিতে বার্তা মমতার
    বর্তমান | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • প্রীতেশ বসু, ঝাড়গ্রাম: দেশের সার্বভৌমত্ব ও বাংলার অখণ্ডতা রক্ষায় সবাইকে এক হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে তিনি এই আহ্বান জানান। ইংরেজদের বিরুদ্ধে গান্ধীজির ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বলিদানকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে সমস্ত ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এক থাকার শপথ নেওয়ার সময় এসেছে।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বিধানসভায়। শাসক-বিরোধী উভয়েই সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তাঁর বার্তা জোরালো করতেই মমতা গান্ধীজির নাম উল্লেখ করেছেন তাঁর বক্তৃতায়।

    এদিন ঝাড়গ্রামের বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজ সাথী, রূপশ্রী সহ রাজ্যে সরকারের একাধিক প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, নবনির্বাচিত সাংসদ পদ্মশ্রী কালীপদ সরেন সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে গান্ধীজির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আদিবাসী নৃত্যের  তালে তালে পা মেলাতে দেখা যায় তাঁকে। 

    ঝাড়গ্রাম সহ সমগ্র জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকারের নেওয়া একাধিক প্রকল্পের কথা 

    তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রচুর উন্নয়নের কাজ আমাদের সরকার করেছে। আগামী দিনে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সকল ধর্ম, সকল বর্ণ, সকল সম্প্রদায়ের শপথ নেওয়ার পালা। আমরা এক সঙ্গে বাঁচব, এক সঙ্গে থাকব, এক সঙ্গে গড়ব, এক সঙ্গে লড়ব, এক সঙ্গে উন্নয়ন করব। আমরা এক সঙ্গে গর্ব করে বলব, জয় হিন্দ, জয় বাংলা।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায় এদিন বঙ্গবাসীর বারো মাসে তেরো পার্বণের প্রসঙ্গও উঠে আসে। আসন্ন দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটপুজো, বড়দিন উদযাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধর্ম নিজেদের ধর্ম হিসেবে পালন করি। আমাদের একটাই কথা, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে যেন দেশকে ভালবাসতে পারি। এই মাটিকে ভালবাসতে পারি।’ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতার  লাইন উল্লেখ করে বলেন, ‘সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)