• ৩-৪টে বিয়ে, পাঁড় মাতাল! ছেলে কোথায়? জানেনই না সঞ্জয়ের মা...
    ২৪ ঘন্টা | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • রণয় তিওয়ারি: আরজিকরের মহিলা চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ছেলে! কিন্তু ছেলের কৃতকর্মের কথা জানেন-ই না মা। আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের বাড়ি ভবানীপুরে। সেখানে গিয়ে জানা গিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ-ই নেই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। বোনের দাবি, "দাদার সঙ্গে গত ৬ মাস ধরে কোনও যোগাযোগ নেই।" মায়ের বক্তব্য, "ছেলে কোথায় জানি না। অনেকদিন ধরেই কোনও যোগাযোগ নেই।" ছেলের খোঁজে পুলিসও আসেনি বলে জানান তিনি। 

    ওদিকে ভবানীপুরে সঞ্জয় রায়ের প্রতিবেশীরা আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত। অত্যন্ত জঘন্য ছেলে। মদ্যপ অবস্থায় রাস্তাঘাটেও পড়ে থাকত। মেয়েদের কুনজরে দেখত। এমনকি ৩-৪টে বিয়েও করেছে বলে দাবি করেন তাঁরা। এক বাসিন্দা রবি শঙ্কর শা জানান, "আমাকে পুলিসে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল। কিন্তু চাকরিও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। খুবই বাজে ছেলে।" ওদিকে ৩-৪টে বিয়ে করলেও, কোনও বউ-ই ওর সঙ্গে থাকে না বলেও জানিয়েছে এলাকাবাসী।

    তদন্তে উঠে এসেছে, গভীর ঘুমের মধ্যেই আরজিকরের ওই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। উল্লেখ্য আরজিকর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে হাড়হিম করা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ। ম্যাটরেসে মেলে শুকনো রক্তের দাগ। মৃতার গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। ডাক্তারি পড়ুয়ার দুই চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মুখে রক্তের দাগ। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন। যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ। যৌনাঙ্গের কাছে মেলে চুলের ক্লিপ। নির্যাতিতার পেটে মেলে আঘাতের চিহ্ন। ডান হাতে ও আঙুলেও মেলে আঘাতের চিহ্ন। গলার হাড় ছিল ভাঙা অবস্থায়। ঠোঁটেও আঘাতের চিহ্ন। সেমিনার হলে অর্ধনগ্ন দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় পোশাক, ল্যাপটপ ও ব্যাগ। দেহের পাশে মেলে ভাঙা চশমাও। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)