আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্স পড়ুয়ার হাড়হিম করা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিউরে উঠেছে সবাই। ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি দিল্লিতেও গড়িয়েছে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জল। দিল্লি এইমসের তরফে এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানানো হয়েছে। দোষীর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধী দলগুলিও। শুক্রবার দেহ উদ্ধারের পরই মৃতার বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না বলে, মৃতার বাবা-মাকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সিপি বিনীত গোয়েলের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত দোষীদের ধরতে নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশ দেন, দোষীদের ধরে ৩-৪ দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক কোর্টে তুলে ফাঁসির আর্জি জানাতে! এমনকি তদন্তের স্বার্থেও অন্য এজেন্সি দিয়েও তদন্ত হতে পারে, এই মর্মেও বার্তা দেন মমতা। প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুলিসের সিপি বিনীত গোয়েলও বলেন, "আমরা পরিবার ও চিকিত্সকদের সঙ্গে আছি। তদন্তের স্বার্থে যা যা করা প্রয়োজন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সবটুকু করা হবে। তারপরেও যদি পরিবারের অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি থাকে, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।"
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গোয়েল বলেন যে, "অপরাধী যে-ই হোক না কেন, আমাদের কাছে সে একজন অপরাধী।" তিনি জানান, "ধর্ষণ ও খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। এটা যৌন নিগ্রহের পর খুনের ঘটনা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা।"