• নীরজের ম্যাচ দেখতে দেখতে ডিনার ৫ জনের... গভীর ঘুমের মধ্যেই ধর্ষণ আরজিকরের চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে!
    ২৪ ঘন্টা | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র: আরজিকর কাণ্ডের তদন্তে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! গভীর ঘুমের মধ্যেই ওই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ অভিযুক্তের। মদ্যপ অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। জানা যাচ্ছে, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নাইট ডিউটিতে থাকা সব ডাক্তাররা একসঙ্গেই ছিলেন। একসঙ্গেই ডিনার সারেন সবাই। জোম্যাটোতে খাবার অর্ডার করেছিলেন নির্যাতিতা চিকিত্‍সক-ই। সেমিনার হলে বসে অলিম্পিক্সে নীরজ চোপড়ার ম্যাচ দেখতে দেখতে ৫ জন মিলে একসঙ্গে সেই খাবার খান। তারপর বাকিরা চলে যান। আর ওই মহিলা চিকিত্‍সক-পড়ুয়া সেমিনার হলে যে বিছানা ছিল, সেখানেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

    সেমিনার হলে থাকা লাল রঙের কম্বল গায়ে দিয়েই ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। রাত ৩টে পর্যন্তও তাঁকে কম্বল চাপা দিয়ে ঘুমাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন দেহ উদ্ধার হয়, তখন আর গায়ে কোনও কম্বল ছিল না। এর থেকে বোঝা যায় যে, ৩টের পরই ঘটনাটি ঘটেছে। রাত আড়াইটে থেকে ৩টে নাগাদ দোতলা, তিনতলার করিডর ও চেস্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে সিসিটিভিতে সঞ্জয়কে দেখা যায়। এখন সেমিনার হলে ঢোকা-বেরনোর দুটো রাস্তা আছে। একটা সামনের দিকে। আরেকটা পিছন দিকে। পিছন দিকের গেটটি রাতে বন্ধ থাকে। সামনের দিকে লিফট থেকে উঠে যে করিডর, সেখানেই সিসিটিভিতে দেখা যায় ধৃত সঞ্জয়কে।

    ৩টে পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজে, প্রায় ৪৫ মিনিট পর অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আরও দেখা যায়, ধৃত সঞ্জয় যখন সেমিনার হলে ঢোকে, তখন তাঁর কানে হেডফোন ছিল। কিন্তু সেমিনার হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিসিটিভি ফুটেজে ধৃতের কানে কোনও হেডফোন দেখতে পাওয়া যায়নি। এখন সেই হেডফোনের ছেঁড়া অংশ মেলে মৃতদেহের পাশে। সেটি  চালু করতেই তা 'কানেক্ট' হয়ে যায় ধৃত সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে। সেই 'কানেকশন'-এর সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। আর জি কর কাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রেক থ্রু করে কলকাতা পুলিস।

    হাড়হিম করা আরজিকর কাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ। ম্যাটরেসে মেলে শুকনো রক্তের দাগ। মৃতার গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। ডাক্তারি পড়ুয়ার দুই চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মুখে রক্তের দাগ। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন। যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ। যৌনাঙ্গের কাছে মেলে চুলের ক্লিপ। পেটে আঘাতের চিহ্ন। ডান হাতে ও আঙুলেও আঘাতের চিহ্ন। গলার হাড় ভাঙা অবস্থায়। ঠোঁটেও আঘাতের চিহ্ন। অর্ধনগ্ন দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় পোশাক, ল্যাপটপ ও ব্যাগ। দেহের পাশে মেলে ভাঙা চশমাও।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)