ওদিকে খুনের মামলায় এবার ধর্ষণের ধারাও যোগ করেছে পুলিস। সিট গঠন করেই সাফল্য মেলে আরজিকর কাণ্ডের তদন্তে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রেক থ্রু কলকাতা পুলিসের। চিকিত্সক-পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় তদন্তে গতকালই ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে কলকাতা পুলিস। তারপর খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিস। চিকিত্সক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরই আরজিকরে ছুটে আসেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। ঘটনার কথা জানতে পেরেই হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফোন করে কথা বলেন মৃতার বাবা-মায়ের সঙ্গে। দোষীদের দ্রুত ধরা হবে বলে আশ্বাস দেন। কথা বলেন সিপির সঙ্গেও।
আরজিকরের মহিলা চিকিত্সক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তোলপাড় সব মহল। কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা। বিক্ষোভে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি থেকে নার্সরাও। হাড়হিম করা আরজিকর কাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জোরালো হয়েছে ধর্ষণ করে খুনের তত্ত্ব। যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। ম্যাটরেসে মিলেছে শুকনো রক্তের দাগ। গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। ডাক্তারি পড়ুয়ার দুই চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মুখে রক্তের দাগ। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন। যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ। যৌনাঙ্গের কাছে মিলেছে চুলের ক্লিপ। পেটে আঘাতের চিহ্ন। ডান হাতে ও আঙুলেও আঘাতের চিহ্ন। গলার হাড় ভাঙা অবস্থায়। ঠোঁটেও আঘাতের চিহ্ন।
গতকাল সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় সোদপুর পানিহাটির বাসিন্দা ওই মহিলা চিকিত্সক-পড়ুয়ার দেহ। দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় পোশাক, ল্যাপটপ ও ব্যাগ। দেহের পাশে মেলে ভাঙা চশমাও। হাড়হিম করা এই ঘটনায় শিউরে উঠছে সবাই।