'নৃশংস হত্যার একাধিক প্রমাণ রয়েছে’, কী জানালেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ?
এই সময় | ১০ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা। বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, অন্যান্য হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। সুরতহালের সময় উপস্থিত ছিলেন মৃতের পূর্ব পরিচিত দিয়াশিনী রায়। কী জানাচ্ছেন তিনি?দিয়াশিনী রায় কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ছিলেন আরজি কর হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর। সর্বোপরি, মৃত চিকিৎসকের পূর্ব পরিচিত এবং কলেজে জুনিয়র ছিলেন দিয়াশিনী। চিকিৎসক জানালেন, ময়নাতদন্তে উপস্থিত না থাকলেও বাইরে থেকেও আমরা যেটুকু বুঝতে পেরেছি, নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করেছি, আমরা যেটা সন্দেহ করছি সেটাই হয়েছে? ওঁরা জানিয়েছেন, হ্যাঁ, ওঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই প্রমাণ মিলেছে। শারীরিক যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। যোনিপথে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। গলা টেপা হয়েছিল, এগুলো সবকিছুরই প্রমাণ মিলেছে।’
শুক্রবার রাতেই ময়নাতদন্ত হয়। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করে। ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে এই টিম গঠন করা হয়।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির হাসপাতালে যাতায়াত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে আটক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কী কারণে ওই মহিলা চিকিৎসককে হত্যা করা হল? রহস্য থেকেই যাচ্ছে। শীঘ্রই আসল সত্য উদঘাটন হোক, এমনটাই চাইছেন সকলে।