• বন দফতরের অফিসারকে হুমকি দেন অখিল, তাঁর বিরুদ্ধেই এবার থানায় অভিযোগ দায়ের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • কদিন আগের ঘটনা। রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে বন দফতরের এক মহিলা অফিসারকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী কুকথা পর্যন্ত বলেছিলেন বলে অভিযোগ। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তারপর সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয় অখিল গিরিকে। খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ করেছিলেন। এই নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলের গাইডলাইনের উর্দ্ধে কেউ নন। তা সে যত বড়ই নেতা হোন না কেন। কিন্তু এত কিছুর পর এবার বন দফতরের ওই মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে মন্দারমণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক গ্রামবাসী।

    এই ঘটনা সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ ওই গ্রামবাসীকে দিয়েই কি অখিল গিরি কাজটি করলেন?‌ উঠছে প্রশ্ন। এই গ্রামের মহিলা বাসিন্দা বন দফতরের ওই মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে মন্দারমণি কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে মহিলা গ্রামবাসী দাবি করেছেন, ‘‌গত ২ অগস্ট রাত ১১টার পর বন দফতরের রেঞ্জার মণীষা সাউ ও বিট অফিসার কৌশিক সিং সর্দারের নেতৃত্বে দোকানগুলি ভাঙা হয়েছে। আমাদের দোকানগুলিতে অগ্নিসংযোগ করে আমাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছে।’‌ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। যদিও বন দফতর এই অভিযোগের বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই বলেছে।

    ওই বন দফতরের মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল অখিল গিরির বিরুদ্ধে। তাজপুরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গিয়ে অখিল গিরির রোষানলে পড়েন বন দফতরের ওই মহিলা অফিসার। এমনকী একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় সরকারি ওই বন দফতরের অফিসারকে কটু কথা বলছেন অখিল গিরি। তাঁকে হুঁশিয়ারিও দেন তৎকালিন মন্ত্রী। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। ন দফতরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর চাপে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় অখিল গিরিকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মহিলা। তাই কোনও মহিলার উপর হেনস্থা হলে তিনি তা বরদাস্ত করেন না।

    অখিল গিরি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য হলেও রেয়াত করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পক্ষ থেকেও অখিল গিরির এই আচরণের নিন্দা করেন কুণাল ঘোষ। অখিল গিরি কথা দিয়েছিলেন, মন্ত্রীত্ব ছাড়বেন কিন্তু ওই মহিলা অফিসারের কাছ থেকে ক্ষমা চাইবেন না। সেটাই করেছেন তিনি। পরে অখিল গিরি বলেছিলেন, ‘উত্তেজনার মুহূর্তে যে কথাগুলি বলে ফেলেছি। সেটা বলা হয়তো ঠিক হয়নি। তবে তখন আমি যদি কোনও মন্তব্য না করতাম তাহলে আরও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। কারণ গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।’ এবার ওই মহিলা বন দফতরের অফিসারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক গ্রামবাসী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)