• পুরনো পারমিটে নতুন বাস চালাতে শর্ত দিল পরিবহণ দফতর, জারি হয়েছে নির্দেশিকা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ বছরের পুরনো বাস চালানো যাবে না। এই নিয়ম মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই এখন কলকাতার রাজপথে বেসরকারি বাস–মিনিবাস কম। এই ১৫ বছরের পুরনো বাস–মিনিবাস রাজ্য সরকারের অনুমোদিত স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডেই নষ্ট করতে হবে। তবেই পুরনো পারমিটে নতুন বাস চালানোর অনুমতি দেবে পরিবহণ দফতর। এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি নষ্ট করলেই মিলবে সার্টিফিকেট। সেটা পরিবহণ দফতরের কাছে জমা দিতে হবে। তার পরই মিলবে একই রুটের পারমিট। যা দিয়ে নতুন গাড়ি চালানো যাবে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে পরিবহণ দফতর।

    এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেলে দুটি বিষয় ঘটবে। এক, কারা কারা পুরনো বাস দিয়েছে সেটা জানা যাবে। দুই, কত সংখ্যক বেসরকারি বাস–মিনিবাস স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে জমা পড়ল তাও জানা যাবে। সেই অনুযায়ী রাজ্য পরিবহণ দফতর পদক্ষেপ করবে। এক বছরে একসঙ্গে প্রায় ১২০০ বেসরকারি বাসের ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে এই সংখ্যক বেসরকারি বাস স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে জমা পড়ল কিনা সেটা জানা যাবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা–সহ সব জেলাতেই একটি করে স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে—গাড়ির কর, বিমা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি আপডেট না হলে ‘বাহন’ পোর্টালে পুরনো গাড়ির বদলে নতুন গাড়ির এন্ট্রি করা যাবে না।

    এই নানান শর্ত বাস মালিকদের বেশ চাপে পেলে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক বেসরকারি বাসের বদলে নতুন বাস না নামানো গেলে যাত্রীদের সমস্যা হবে। তাই নতুন স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড তৈরি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এর আগে একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক বাস–মিনিবাস বাতিল হয়নি। ধাপে ধাপে তা হয়েছে। এবার একসঙ্গে তা হতে চলেছে। আর বেসরকারি বাসের স্যাশি কেটে তার নম্বর–সহ সেটি আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে জমা করতে হয়। তখন পুরনো রুট পারমিটে নতুন বাস নামানোর অনুমোদন মেলে। এবার যে স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডগুলি তৈরি করা হতে চলেছে সেগুলি হবে স্বয়ংক্রিয়।

    এছাড়া বিমা অথবা কর সম্পূর্ণ আপডেট করা না থাকলে পুরনো গাড়ি নষ্ট করার তথ্য বাহন পোর্টাল বা অ্যাপে তোলা যাবে না। তাই পরিবহণ দফতরের অফিসাররা বিষয়টি ম্যানুয়ালি করবেন। গাড়ি যখন নষ্ট করা হবে, তখন কোনও সরকারি অফিসারকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। এখন শুধু হাওড়া জেলাতেই আধুনিক স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড আছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আরটিও অফিস থেকে ২৫ কিমির মধ্যে একটি স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড তৈরি করা হবে। যদি কোনও জেলায় সেটা না থাকে, তাহলে নিকটবর্তী কোনও কেন্দ্রে সেটা করা যেতে পারে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)