২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৭ লাখ ১০ হাজারের বেশি ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই রেকর্ড ভোটে জয়লাভের পরেই তিনি সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন এবং আরও জোরালভাবে তাঁদের উন্নয়নে ঝাঁপানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই মাস অতিবাহিত। ডায়মন্ড হারবারে উন্নয়ন মূলক কাজ নিয়ে শনিবার সমন্বয় প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার, আইসি,ওসি এবং এসডিপিও এবং অন্যান্যরা।বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া রাস্তার উদ্বোধনও করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৬০ থেকে ৬৫ দিন পেরিয়েছে। তার মধ্যে এই ১৪৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে মানুষের জন্য। দিনে গড়ে আড়াই কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এলাকার প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ। মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ অব্যাহত থাকবে।' দশ বছরে ডায়মন্ড হারবারে ৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিছু প্রাথমিক হেল্থ সেন্টার থেকে পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন অভিষেক। উল্লেখ্য, এলাকাবাসী যাতে সাংসদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন সেই কারণে ‘এক ডাকে অভিষেক’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেখানে ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারতেন সংসদ এলাকার বাসিন্দারা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দুই চার জায়গা, বিশেষ করে সাতগাছিয়া, মহেশতলা থেকে গত দুই মাসে সাত-আটটা অভিযোগ পেয়েছি। কয়েক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে এজেন্সিগুলিকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পার্টির নাম করে শাসানোর একটা প্রবণতা তৈরি হয়। সবাই করে সেকথা বলছি না। কেউ যদি দলের নাম করে ভয় দেখায় বা টাকা চায় তাহলে এক ডাকে অভিষেকের নম্বরে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে তা ভিডিয়ো করে পাঠাতে পারবেন। তা পুলিশ প্রশাসনকে দেওয়া হবে। পুলিশ যাচাই করে দেখবে এবং ভিডিয়োর সত্যতা প্রমাণ হলে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে। তাঁর সুরক্ষার সমস্ত দায়িত্ব আমার। তথ্য সত্যি হলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ দুটো বড় জলের প্রকল্প চলছে। একটি ফলতা মথুরাপুর, যার ফলে পাঁচ সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। এই বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তার ডেডলাইন রাখা হয়েছে।’