• শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে প্রথমবার গঙ্গা আরতি, হাজির একাধিক মন্ত্রী, লক্ষাধিক পুণ্যার্থী ...
    আজকাল | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: চন্দননগর রানী ঘাটে সূচনা হল শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে প্রথম গঙ্গা আরতি। শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা হয়। লক্ষ পূণ্যার্থীর ভিড় জমে শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে। প্রথা অনুযায়ী বৈদ্যবাটি গঙ্গা ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করে বাঁক কাঁধে প্রায় চল্লিশ কিমি রাস্তা পায়ে হেঁটে ভক্তরা পৌঁছন তারকেশ্বর। পথের ক্লান্তি দূর করতে "ভোলেবাবা পার লাগাও ত্রিশূল ধারী শক্তি যাগাও", "বম বম তারক বম ভোলে বম তারক বম" বলতে বলতে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে তারকেশ্বর পৌঁছন পূণ্যার্থীরা।

    মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে সমাপ্তি হয় জলযাত্রীদের যাত্রা। কেউ মনস্কামনা পূরণে, কেউ বা ভোলে বাবার কাছে প্রার্থনা করতে বছর বছর বাঁক কাঁধে হেঁটে চলেন। তারকেশ্বরে গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে বসে মেলা। দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে এই শ্রাবণী মেলা। তবে কোনও দিন গঙ্গা আরতি হয়নি। এবারই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গা আরতির আয়োজন করে হুগলি জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হয় তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা সংগ্রহশালার।

    শনিবার চন্দননগর রানী ঘাটে এই গঙ্গা আরতির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, করবী মান্না, হুগলির জেলা শাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি সহ হুগলি জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে গঙ্গা আরতির আয়োজন একটা দৃষ্টান্ত হল। জেলা প্রশাসন থেকে এবারে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রাবনী মেলায়। জেলা প্রশাসনের তরফে যারা বাঁকে করে জল নিয়ে যান তাঁদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সম্মানিত করা হবে বাঁক বাহাদুর বলে।

    হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য বলেছেন, এদিন চন্দননগর রানী ঘাটে গঙ্গা আরতি হল। আগামী রবিবার আরতি হবে শ্রীরামপুর রায়ঘাটে।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)