• সরকারি সহায়তা ছাড়া তৈরি হল পিস হাভেন, উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ...
    আজকাল | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি : অভাব ছিল। স্থানীয়দের দাবিও ছিল। এবার সেটাও পূরণ হল। মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হল। শনিবার দুপুরে চন্দননগরবাসীর বহু কাঙ্খিত সেই পিস হাভেনের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণে পালন করা হলো নীরবতা।

    চন্দননগরের বাসিন্দা অনেকেই দেশ বিদেশে থাকেন। অথচ তাঁদের পরিবার থাকেন এখানে। তাঁদের পরিবারের অনেকেই আজও রয়েছেন এই শহরে। এই রকম একাধিক পরিবার রয়েছে যেসব পরিবারের একাধিক সদস্য কর্মসূত্রে বিদেশের বাসিন্দা। তাই ফরাসি ঐতিহ্যবাহী এই শহরে একটা মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থার অভাব অনুভব করতেন বাসিন্দারা। কারণ তাদের নিকট আত্মীয় কেউ প্রয়াত হলে দেহ কয়েক দিনের জন্য সংরক্ষণের কোনও উপায় ছিল না। এবার সেই অভাব পূরণ হল। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্যোগে চন্দননগর বড়াইচন্ডীতলা শ্মশান ঘাটে তৈরি করা হলো 'পিস হাভেন'।

    সেখানে এক সঙ্গে চারটি মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যাবে। এদিন পিস হাভেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সেরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও সরকারি টাকায় নয়, চন্দননগর উৎসব কমিটি পিস হাভেন তৈরির খরচ বহন করেছে। চন্দননগরবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা এবং খুবই প্রয়োজনের জিনিস হল এটা। মন্ত্রী বলেন, একটা নতুন জিনিস হলে সবাই সেখানে আসে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে এদিন ইন্দ্রনীল সেন বলেন, "প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। চন্দননগরের নাগরিক আমরা যারা রয়েছি, তাঁর আত্মার শান্তির জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করবেন।" এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল সহ বিধানসভা উৎসব কমিটির সদস্যরা।

    এদিন মেয়র বলেন, চন্দননগরে দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছে। মুসলিমদের জন্য কবরস্থানে কাজ করা হয়েছে। পিস হাভেনের চাহিদা ছিল, সেটাও পূরণ হল। চন্দননগর বিধানসভা উৎসব কমিটি এবং শহরের চারজন সমাজসেবী এই মৃতদেহ সংক্ষন কেন্দ্রটি তৈরি করতে সাহায্য করেছেন। কোনও প্রকারের সরকারি সাহায্য নেওয়া হয়নি।
  • Link to this news (আজকাল)