একাধিক বার বিয়ের পিঁড়িতে, পাড়ায় লোকে পছন্দ করত না মোটে, আরজি কর অভিযুক্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য...
আজকাল | ১১ আগস্ট ২০২৪
তীর্থঙ্কর দাস: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বাড়ি কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডে ৫৫/বি এলাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল পাড়ায় খুব একটি সুনাম নেই অভিযুক্তের। পাড়া-প্রতিবেশীদের একাংশ আজকাল ডট ইনকে জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে বক্সিং করতেন। তিনটে বিয়ে রয়েছে সঞ্জয়ের। প্রত্যেকটি বিয়ের বড়জোর টিকেছে তিন থেকে ছয় মাস।
অভিযুক্তের বাড়ির পাশেই একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে কাজ করতেন সঞ্জয়ের ছোটবেলার বন্ধু রবিশঙ্কর। অভিযোগ, কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে দু’লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছেন সঞ্জয়।কখনও চেক বা কখনও নগদের মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছিলেন তিনি। পাড়ায় নিজেকে কলকাতা আর্মড পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়ান গ্রুপে চাকুরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে প্রতিবেশীদের অনেকে জানালেন, পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন সঞ্জয়। অভিযোগ, যখনই টাকা চাওয়া হয়েছে ততবারই সঞ্জয় এড়িয়ে গেছেন কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে। এমনকি পাড়াতেও আসতেন রাত তিনটের পর।
প্রতিবেশীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। তবে, অভিযুক্তের মায়ের বক্তব্য, তাঁর ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছেলে এমন কাজ করতেই পারেনা। সঞ্জয়ের দিদি পূজা রায়ের বাড়িতে গেলে দরজায় তালা মারা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, দিদি, বোনের সঙ্গেও সঞ্জয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না। হামেশাই ঝামেলা থেকে থাকত তাঁদের মধ্যে।