কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া একটি বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি উত্তর কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের সেমিনার হলে ঘটে, যেখানে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাঁকে যৌন নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ব্লুটুথ ইয়ারবাডের একটি ছেঁড়া অংশের সূত্র ধরেই অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দেখা যায়, সঞ্জয় রায় রাত ৩টার পর সেমিনার হলে প্রবেশ করে এবং ৪৫ মিনিট পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল এবং তিনি অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, যিনি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশকে সহায়তা করতেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে, তরুণী চিকিৎসকের চোখ, মুখ, গোপনাঙ্গ-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের পর তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, "এটি আমার ব্যক্তিগত ক্ষতির মতো। আমি এই মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি এবং প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হবে।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে কোনও চিকিৎসক বা আন্দোলনকারী যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং সারা দেশের মেডিকেল কলেজগুলিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করার দাবি উঠেছে।