• আরজিকর কাণ্ডের জের, হাসপাতালে নিরাপত্তার খামতি নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে কলকাতা তথা গোটা রাজ্যে। এমতাবস্থায় সক্রিয় প্রশাসন এবং সরকারও। জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ, শনিবার বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। এদিনের বৈঠকে হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক ইস্যু উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, ডিজি রাজীব কুমার এবং সিপি বিনীত গোয়েল।

    সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোথায় কী খামতি রয়েছে, তা সমীক্ষা করে চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কাজের দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির সুপার প্রিন্সিপালদের উপরেই। হাসপাতালে ডাক্তারদের চেঞ্জিং রুম, ডিউটির পর বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, ডাক্তারদের জন্য আলাদা শৌচাগার রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সামগ্রিক রিপোর্ট তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। মহিলা ডাক্তারের এবং জুনিয়র ডাক্তারদের কথা মাথায় রেখে দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    এদিনের বৈঠকে যে প্রশ্নটি জোরালো ভাবে উঠে এসেছে সেটি হল হাসপাতালে অনধিকার প্রবেশের বিষয়টি। পুলিস প্রশাসন এবং হাসপাতালের সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বাইরের লোক কী করে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকে? বাইরের লোকের হাসপাতালে এই অনধিকার প্রবেশ ঠেকাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    প্রয়োজনে প্রতিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবকে বৈঠকে বসারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয় বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোতে আরজিকর হাসপাতালের পরিকাঠামো বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও। বৈঠক শেষে বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপো পরিদর্শনে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
  • Link to this news (বর্তমান)