• অপরাধীদের ফাঁসি হোক, সিবিআই তদন্তেও আপত্তি নেই: মুখ্যমন্ত্রী
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে ঘটনা ন্যক্কারজনক বলে দাবি করে বলেন, তিনি অপরাধীর ফাঁসির দাবি করছেন! মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যদিও আমি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হবে। তাদের কঠোরতম শাস্তি পাওয়া উচিত।’

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত হোক বা যে কোনও তদন্ত হোক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কারণ রাজ্য সরকারের কিছু লুকোনোর নেই। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’ দেশের চিকিৎসক সংগঠন ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি তুলেছে ন্যাশনাল মেডিক্য়াল অর্গানাইজেশন।

    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি হাসপাতালের সুপারেরও দায়িত্ব আছে। কোনও দিক থেকে তাঁর গাফিলতি আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখব আমরা।’

    শনিবার একাধিক চিকিৎসক সংগঠনের তরফে এব্যাপারে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দাবির কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের অপর আরেকটি সংগঠন রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মহিলা চিকিৎসকদের শুধু দিনে ডিউটি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে আরজিকরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পিজি আই এম ই আর এর চণ্ডীগড়ের চিকিৎসকরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রথমত, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং চরম ঘৃণ্য। এটা আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতির মতো। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ক্ষোভ ও দাবি ন্যায্য। আমি তাঁদের প্রতিবাদ সমর্থন করি। পুলিশও তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছে। ইতিমধ্যে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করছি, যে প্রতিবাদকারী চিকিৎসকদের যেন কোনও ধরনের সমস্যা না হয়।’

    উল্লেখ্য,গতকালই আরজিকরে কতর্ব্যরত ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রীর বাবার সঙ্গে। তদন্তের আশ্বাস তখনই দিয়েছিলেন তিনি। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে বলেন, কী কারণে তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে কেউ দোষী হলে, তাকে ছাড়া হবে না।

    প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না আসলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে।

  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)