অভিষেক বলেন, প্রতিটি ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা আমাদের একটা কালচার হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল পতাকা নিয়ে বসে পড়েছে। আমরা যদি সত্যিই চাই যে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হোক তাহলে আমাদের কী করা উচিত? আইনসভায় সংশোধন করে অর্ডিন্যান্স আনুন, ৬ মাস পরে বিল আনুন যাতে সাত দিনের মধ্যে, এক মাসের মধ্যে এদের ব্যবস্থা হয়। যাদের সরকার রয়েছে তারা অর্ডিন্যান্স করে ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়াতে পারেন, তাহলে একজন ধর্ষকের ৭ দিন যাতে বিচার হন তার জন্য অর্ডিন্যান্স আনতে পারেন না কেন? বিজেপির পতাকা নিয়ে যারা বসে পড়েছেন তাদের উচিত তাদের নেতৃত্বকে বলা আপনারা এমন একটা আইন আনুন যাতে ৭ দিনে বিচার হয়। তৃণমূলের উচিত সেই বিলকে সমর্থন করা, কংগ্রেসের উচিত সেই বিল সমর্থন করা। তা না করে আমরা রাজনীতির করছি। আমাদের সমাজ এমন যে কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। নির্ভয়া হয়েছিল ২০১২ সালে দিল্লিতে। তার পরে একের পর এক ঘটনা তা সে উত্তর প্রদেশে ঘটুক, মহারাষ্ট্রের ঘটুক বা গুজরাটে ঘটুক তার সমাদের জন্য কলঙ্কজনক। কেন বিচার হতে ৫ বছর লাগে? একজন মায়ের কোল খালি হয়ে গেল, একজন বাবা তার মেয়েকে হারাল। এক প্রতিবাদ সবাইকে করতে হবে। বিজেপি বলছে সিবিআই চাই। সিবিআই তদন্ত করে মেয়েটা ফিরে আসবে? এটা যদি উত্তর প্রদেশ হতো তাহলে মৃতদেহটাও পাওয়া যেত না। হাতরাসে ধর্ষণকের খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরে ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে? আইন তৈরি না করলে এর বদল হবে না।
ঘটনার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে। এমনকি পুলিস বলছে, নির্যাতিতার পরিবার চাইলে অন্য এসেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতে পারে। এদিন অভিষেক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। পুলিস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে রাত ২-৩টের মধ্যে। এই যে অবাধ যাতায়াত, এর উপরে নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। কেন রাত নটার পর হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত হবে? সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল বলে অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে। আমি মনে করি এমন আইন আনা দরকার যে এই খুনি ও ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত। কেন ৫ বছর ধরে ট্রায়াল চলবে? কাউকে ৫ বছর ট্রায়ালে রাখতে হলে ৫ লাখ টাকা খরচ হবে। এমন কেন হবে? বিজেপি বিল আনতে পারে আর তৃণমূল পারে তাকে সমর্থন করতে। সারকামস্টেনশিয়াল এভিডেন্স কারও বিরুদ্ধে গেলে তার ৭ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে ফেলা উচিত। বিচার শেষ ট্রায়াল কোর্ট বলে দিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। বিলকিস বানুর ক্ষেত্রে কী হয়েছিল! সবাই ছাড়া পেয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করার ফের তারা জেলে গেল।