হাসপাতালগুলির নিরপত্তা নিয়ে আজ নবান্নে একটি বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিসের ডিজি, স্বাস্থ্যসচিব-সহ কয়েক জন মন্ত্রী। আরজি করের যে পরিস্থিতি সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তার পরিস্থিতি কী তা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে খতিয়ে দেখে ১ মাসের মধ্য়ে জানাতে হবে। মহিলা চিকিত্সক, নার্সদের চেঞ্জিং রুম আছে কিনা, রেস্ট রুম আছে কিনা, ঠিকমতো টয়লেটের ব্যবস্থা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে জানাতে হবে। স্বাস্থ্য সচিবকে বলা হয়েছে প্রতি হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মুখ্যসচিব আজ প্রশ্ন করেন পর্যাপ্ত পরিমান পুলিসি নিরাপত্তা থাকার পরও কীভাবে একজন বহিরাগত হাসপাতালে ঢুকতে পারল। আন্যান্য হাসপাতালগুলিতে বহিরাগতরা যাতে ঢুকতে না পারে তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে রাজ্যের সব হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়গুলি খচিয়ে দেখে ১ মাসের মধ্যে জানাতে হবে। এদিনের বৈঠকে যে প্রশ্নটি জোরাল ভাবে উঠে এসেছে তা হল হাসপাতালে অনধিকার প্রবেশের বিষয়টি। পুলিস প্রশাসন এবং হাসপাতালের সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বাইরের লোক কী করে ঢোকে হাসপাতালের ভিতরে? ফলে, বাইরের লোকের হাসপাতালে অনধিকার প্রবেশ ঠেকাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয় বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোয়ে আরজি কর হাসপাতালের পরিকাঠামো বৃদ্ধির বিষয় নিয়েও। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্ন থেকে সরাসরি বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর উদ্দ্যেশে রওনা দেন ফিরহাদ হাকিম।