• আরজিকরকাণ্ডে চুলের মুঠি ধরে তুমুল মার বিক্ষোভকারীকে, পুলিশকর্তা বললেন, বহিরাগত!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • বিক্ষোভে উত্তাল হল আরজিকরের সামনের রাস্তা। এভাবে হাসপাতালের সেমিনার হলে কোনও মহিলা চিকিৎসককে খুন করার ঘটনা মানতে পারছেন না অনেকেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনও এলাকায় এসেছিলেন। এসেছিলেন বাম ছাত্র যুবরা। তবে বিক্ষোভকারী ডাক্তারি পড়ুয়ারা জানিয়ে দেন তারা কোনও রাজনৈতিক দলকে চাইছেন না। এনিয়ে বচসাও হয়। 

    এসবের মধ্যেই দফায় দফায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। দেখা যায় পুলিশ একেবারে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। এমনকী এক বিক্ষোভকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একাধিক পুলিশকর্মী। চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এক মহিলা বিক্ষোভকারীকে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। প্রশ্ন ওঠে কেন এভাবে দমন পীড়ন শুরু করে দিল পুলিশ? 

    তবে মারধরের অভিযোগ মানতে চাননি পুলিশকর্তা। কলকাতা পুলিশের ডিসি অভিষেক গুপ্তা বলেন, বাইরের লোকেরা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছিল। পুলিশ সংযত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। 

    তিনি বলেন, বিকেলে আরজিকরের হাসপাতালের ছাত্র সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিল। সেই সময় বাইরের কিছু লোক গেটের সামনে চলে আসেন। তখন এখানকার পড়ুয়ারাই প্রতিবাদ করেছিলেন। দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। পুলিশকে লক্ষ করে চটি, চপ্পল ছোড়া হয়। ধাক্কা দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ সংযতভাবে তাঁদের চলে যেতে বলে। তারা জানায় যে এখানকার পড়ুয়ারা আপনাদের চাইছে না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, জানি না কোথা থেকে ওঁরা এসেছিলেন। তবে পড়ুয়া বলে মনে হয় না। 

    এদিকে এদিন আরজিকরের পড়ুয়াদের একাংশও এদিন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মূলত অন্যান্য জায়গা থেকে যে সমস্ত বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন তাদের সঙ্গেই আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসকদের বচসা বেঁধে যায়। পরে গভর্নিং বডির মিটিংকে কেন্দ্র করেও এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। 

    মূলত আরজিকরের পড়ুয়াদের দাবি, এই ঘটনায় যারা বিক্ষোভ দেখাতে আসছেন তারা দলীয় পতাকা নিয়ে আসবেন। কারণ একটা মৃত্যু নিয়ে দলবাজি হোক সেটা চাইছেন না তাঁরা। তবে এদিন যেভাবে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আচরণ করেছে পুলিশ তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। যে সমস্ত ভিডিয়ো সামনে এসেছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 

    সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন মহিলা চিকিৎসক। আর সেখানেই ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। পুলিশ চাইছে সর্বোচ্চ শাস্তি। মুখ্য়মন্ত্রীও চাইছেন ধৃতের ফাঁসি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)