• ‘এত ভাল মেয়ে আর পাওয়া যাবে না’‌, তরুণী চিকিৎসকের হত্যায় সহকর্মীদের প্রতিক্রিয়া
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। কারণ সরকারি হাসপাতালের ভিতর সেমিনার হলে মাঝরাতে এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালপ্রিটের ফাঁসি পর্যন্ত চেয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। কেমন ছিলেন ওই নির্যাতিতা?‌ এটাই এখন সবাই জানতে চায়। সহকর্মীদের সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস চলাকালীন অমানসিক পরিশ্রম করে পরিষেবা দিয়েছেন। অমায়িক ব্যবহার ছিল। জখম রোগীদের ‘স্টিচ’ করার সময় সবাই তাকিয়ে থাকতেন। আরজি কর হাসপাতালে যাওয়ার আগে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে কাজ করেছেন ওই নির্যাতিতা। তাঁর সঙ্গেই এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটল!‌ ভেঙে পড়েছেন মৃত চিকিৎসকের পুরনো সহকর্মীরা।

    মধ্যমগ্রাম মাতৃসদন অর্থাৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস স্পেশালাইজড অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে আগে কর্মরত ছিলেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। এখানেই তিনি চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন। সহকর্মীরা শুক্রবারের ঘটনা শুনে স্তম্ভিত। চোখে জল থামছে না। একটা এত ভাল মেয়ে তাঁর জীবনে নেমে এল কঠিন পরিণতি! বিশ্বাসই হচ্ছে না। হাসপাতালের অনেক সহকর্মীই বলেন, ‘এত ভাল মেয়ে আর পাওয়া যাবে না। তাঁর ব্যবহার, তাঁর চিকিৎসা, রোগীদের বোঝার ক্ষমতা ছিল অনস্বীকার্য। এত ভাল স্টিচ করতে পারেন কজন ডাক্তার? খুবই গুণী ছিলেন।’‌

    একদিকে ভালো ব্যবহার অপরদিকে সময় মেনে ডিউটি করা তাঁর স্বভাবে ছিল। এমনকী আইসিইউতে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। তিনি মাতৃসদন ছেড়ে আরজি কর হাসপাতালে চলে আসার পর সবার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস স্পেশালাইজড অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ইনচার্জ পঙ্কজ কান্তি চন্দ্রের বক্তব্য, ‘উনি এখানে সম্মানের সঙ্গে কর্মরত ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি। তবে সকলের মুখে ওঁর কথা শুনেছি। ভাবতেই পারছি না, ওঁর এরকম পরিণতি হল!’ আইসিসিইউর সিস্টারের কথায়, ‘ওঁর সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। হাতের লেখা মুক্তোর মতো। অমায়িক ব্যবহার করতেন।’

    ওই মহিলা চিকিৎসকের হত্যার ঘটনায় এখন আরজি কর তেতে উঠেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। এই আন্দোলন–বিক্ষোভকে সমর্থন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে ওয়ার্ড মাস্টার সুখেশ রায় বলেছেন, ‘‌২০১৯ সাল থেকে দায়িত্ব নিয়ে তিনি পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মতো চিকিৎসক কম দেখা যায়। এই ঘটনায় আমরা সকলেই মর্মাহত। এই জঘন্য অপরাধের চরম শাস্তি চাই। অনেকেই হাসপাতালে আসেন, কাজ করেন, আবার চলেও যান। কিন্তু ওই চিকিৎসকের ব্যবহার, মনে রাখার মতো।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)