• আরজি কর হাসপাতালের হস্টেলের জন্য জমি দেবে রাজ্য, নির্যাতিতার স্মৃতিতে একটি তলা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। কারণ সরকারি হাসপাতালের ভিতর সেমিনার হলে মাঝরাতে এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালপ্রিটের ফাঁসি পর্যন্ত চেয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তারপর আজ, শনিবার নবান্নে হয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা। সেখানেই এই সরকারি হাসপাতালের হস্টেলের জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার বলে সূত্রের খবর।

    নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপো এলাকায় হাসপাতালের হস্টেলের জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর শহরের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোতে আরজিকর হাসপাতালের হস্টেলের নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে। এমনকী ওই হস্টেল বিল্ডিংয়ের একটা ফ্লোর নির্যাতিতা ডাক্তার ছাত্রীর স্মৃতিতে রাখা হবে। এই বৈঠক শেষে সরকারিভাবে বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই বৈঠকের পরই বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর ওই জায়গা পরিদর্শন করতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

    যুবতী চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুতে আরজি কর হসপাতালের সামনে সকাল থেকে চলছে বিক্ষোভ। বিকেলের দিকে তা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। যদিও পুলিশ তা আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশই দোষীকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করেছে। আর দফায় দফায় জেরা করে নানা তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে। এই ঘটনা অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি তোলা হয়েছে। তবে এখন তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। এই আবহের মধ্যেই শনিবার নবান্নের বৈঠকে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে জোরাল আলোচনা হয়। হাসপাতালের প্রত্যেকটি গেটে সিসিটিভি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি গেটে নিরাপত্তা কর্মীও বাড়ানো হবে বলে সূত্রের খবর।

    এই ঘটনায় যদি সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয় তাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শনিবার কলকাতার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানান। আজ সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে ধরনায় বসা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের রাজনৈতিক দলের ব্যানার নামিয়ে তবেই যোগ দিতে বলেন। এই নিয়েই বাঁধে তুমুল বচসা। পুলিশ ব্যারিকেড করে বাইরে থেকে আসা ছাত্রদের মেডিক্যাল কলেজের বাইরে বের করার চেষ্টা করে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)