• চিকিৎসকের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার এবার বর্ধমান মেডিক্যালে, আটক ২
    এই সময় | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে। সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর মাঝেই বর্ধমান মেডিক্যালে এক মহিলা পিজিটি ডাক্তারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণের অভিযোগ। ঘটনায় দু’জনকে আটক করে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসা হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশবর্ধমান মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের এক পিজিটি ডাক্তারের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিৎসক। তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা দুই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃত দু’জন হলেন নূর উদ্দিন মণ্ডল ও লালন শেখ। তাঁদের বাড়ি মন্তেশ্বরের রাইগ্রাম।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, সাপে কামড়ানো মাকে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে এসেছিলেন নূর উদ্দিন মণ্ডল। মায়ের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক শুনে হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় নূর উদ্দিনের বাবা। অভিযোগ, সেই সময় এক মহিলা পিজিটি ডাক্তারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণ করে নূর উদ্দিন। তার শ্বশুর লালন সেখের বিরুদ্ধেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। মহিলা পিজিটি ডাক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করেছে পুলিশ।

    ঘটনায় বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘আমাদের এক মহিলা পিজিটি ডাক্তারের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে বলে শুনেছি। পুলিশ এবার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক।’ হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য একটি রিভিউ মিটিং করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    আরজি করের ঘটনার পর রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও প্রতিবাদ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন তাঁরা। অযাচিত লোকের আনাগোনা বাড়ছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে দাবি করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পে যাতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (এই সময়)