• শান্তিনিকেতন সাহিত্য উৎসবের প্রথম দিনে মিলল ব্যাপক সাড়া
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: শনিবার থেকে শুরু হল দু’দিন ব্যাপী শান্তিনিকেতন সাহিত্য উৎসব। ‌এই উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশ থেকে খ্যাতনামা সাহিত্যিকরা উপস্থিত হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন বোলপুর সিউড়ি রোডে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সকালে বিশ্বভারতীর রীতি মেনে বৈদিক মন্ত্রপাঠ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ফাতেমা জোহরা হক, বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক নিমাইচাঁদ সাহা, হিন্দি ভবনের অধ্যাপক সুভাষচন্দ্র রায়, সিকম স্কিলস ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক দেবকুমার পাঁজা, পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য গুণীজন। ‌দু’দিনের সাহিত্য উৎসবে বাংলাদেশের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। ভারতের উত্তরপ্রদেশ, অসম, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব প্রভৃতি রাজ্যের‌ নামী সাহিত্যিকরাও উপস্থিত ছিলেন। 

    অনুষ্ঠানের সভাপতি তথা অন্যতম উদ্যোক্তা অরিন্দম রায় বলেন, শান্তিনিকেতন সংস্কৃতির পীঠস্থান। কবিতা, গান সাহিত্য সহ নানা বিষয়ে এখানে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হয়েই থাকে। তাই প্রথমবার শান্তিনিকেতন সাহিত্য উৎসব গুরুদেবের কর্মভূমিতে আয়োজন করেছিলাম। দেশ বিদেশ থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, শিল্পচিন্তা, সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা ছিল প্রথম দিনের আলোচনার মূল বিষয়। এছাড়া বিশ্বভারতীর শিল্পী ও অধ্যাপকরাও নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন। ‌ প্রথমবারেই সকলের কাছ থেকে যেভাবে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। 

    বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ফাতেমা হক বলেন, সাহিত্য ও চিন্তাভাবনায় শান্তিনিকেতন অন্যন্য। ভারতবর্ষের নানা প্রান্তের মানুষজন নিজেদের সংস্কৃতি ও সাহিত্য অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছেন। এই কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত। 

    পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, চারিদিকে অসহিষ্ণু পরিবেশের মাঝে এই ধরনের সাহিত্যচর্চা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এই ধরনের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান করার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই।
  • Link to this news (বর্তমান)