• পাট জাগ দেওয়ার খেলা খেলতে গিয়ে জলে ডুবে ৩ বালিকার মৃত্যু
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: খেলার ছলে পাট জাগ দেওয়ার জন্য পুকুরে নেমেছিল তিন নাবালিকা ‘বান্ধবী’। কিন্তু তাদের যে আর বাড়ি ফেরা হবে না, তা ঠাওর করতে পারেনি ওরা। পুকুরের জলে তলিয়ে গিয়ে একইসঙ্গে মৃত্যু হল তিন নাবালিকার। শনিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুরের গোয়াস মাঠপাড়ায়।  মৃতেরা হল জার্গিসা খাতুন (৯), মাবিয়া খাতুন (৭), তামান্না খাতুন (৭)। একই গ্রামে তিন নাবালিকার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ পুরো এলাকা।

    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তামান্না ও মাবিয়া সম্পর্কে খুড়তুতো বোন। আর জার্গিসা প্রতিবেশী পরিবারের মেয়ে। তামান্নার বাবা আলমগির শেখ ও মাবিয়ার বাবা মাফিকুল শেখ। আলমগির মাঠে কাজ করেন। জানা গিয়েছে, শনিবার বাড়ির পাশে একটি জলাশয়ে আলমগির পাট জাগ দিচ্ছিলেন। বাবার পাট পচানোর কাজ দেখতে দুই বান্ধবীকে নিয়ে চুপি চুপি গিয়েছিল তামান্না। জমির ওপরেই তিন বান্ধবী খেলা করছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িও ফেরেন তিনি। এরপরে চোখের আড়াল হতেই তিন বান্ধবী আবার ছুট দেয় ওই পুকুরের দিকে। 

    অনেকক্ষণ ধরেই তাদের দেখা না পেয়ে মেয়েদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন আলমগির। আশপাশে না পেয়ে সন্দেহ হয় পুকুর পাড়ে গিয়ে থাকতে পারে। এরপরই পুকুর পাড়ে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। সন্দেহ হওয়ায় পুকুরে নেমে  তল্লাশি চালাতেই তামান্নার দেহ উদ্ধার হয়। ততক্ষণে পুরো পাড়ার লোক জড়ো হয়ে যায় মাঠে। বাকি দু’জনের খোঁজেও শুরু হয় পুকুরে তল্লাশি। কিছুক্ষণ পরে মাবিয়া ও জার্গিসাকেও জলের মধ্যে থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।

    তামান্নার বাবা বলেন, ওরা সবাই আমার সঙ্গে চলে এসেছিল। আবার কখন ওরা সবাই ওখানে চলে গিয়েছিল বুঝতে পারিনি। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় পুকুরে খুঁজি। সেখানে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পাই। এর কিছুক্ষণ পরে মাবিয়া ও জার্গিসাকেও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। এভাবে এতকিছু এত অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটে যাবে বুঝতেই পারিনি।
  • Link to this news (বর্তমান)