• শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মলয় 
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ‘দেশজুড়ে হায়ার অ্যান্ড ফায়ার নীতি চলছে। অর্থাৎ কোনও সংস্থায় ৩০০জনের কম শ্রমিক থাকলে বিজেপির আনা শ্রম কোড অনুযায়ী সেই সংস্থার শ্রমিকের কোনও আইনি সুরক্ষা থাকবে না। যখন দরকার শ্রমিক নেওয়া হবে। যখন দরকার তাড়িয়ে দেওয়া হবে। কর্মহীন শ্রমিক আইনের দ্বারস্থও হতে পারবেন না।’ শনিবার দুর্গাপুর মেনগেটের সামনে শ্রমিক সমাবেশ থেকে এভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন ব঩লেই কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতির আঁচ আপনারা পাচ্ছেন না। সারা দেশে শ্রম কোড লাগু হওয়ায় শ্রমিকদের কাজের সময় ১২ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শ্রমিকদের সর্বোচ্চ কাজের সময় আট ঘণ্টাই থাকবে। অতিরিক্ত কাজ করাতে হলে ওভারটাইমের টাকা দিতে হবে। তিনি বলেন, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনাও কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দান। শ্রমিকদের ভাগের টাকা রাজ্য সরকারই দিয়ে দেয়। 

    এদিনের সভায় মলয়বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক। মূলত, শ্রমকোড বাতিল সহ কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরোধিতা, বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন এই সমাবেশের আয়োজন করে। সভা শেষে ঋতব্রতবাবু বলেন, এই জেলাতেই সরকারি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জেলাশাসকের নজরদারিতে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি আমরা সব কারখানাতেই ঠিকা শ্রমিকদের জন্যও বয়োমেট্রিক হাজিরা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছি। যাতে কেউ শ্রমিকদের গেটপাস আটকে রেখে দাদাগিরি করতে না পারে। 

    এদিনের সভা শেষ হওয়ার পর এক ব্যক্তি কাজ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে চিৎকার করতে থাকেন। সাময়িক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দ্রুত পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে। শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেকারণে আমরা কোনও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি না।
  • Link to this news (বর্তমান)