বোলপুরের মুলুক গ্রামে ফাঁকা বাড়িতে চুরি, আতঙ্কে স্থানীয়রা
বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: শনিবার গভীর রাতে বোলপুর থানার মুলুক গ্রামে একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। এরপর পাশেই একটি মন্দিরে দু’জন চোর চুরির চেষ্টা করে। এঘটনায় এলাকার মানুষ খুব আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই এলাকায় এরকম চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিসকে জানিয়েও লাভ হয় না। এঘটনায় বোলপুর থানার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।শুক্রবার গভীর রাতে মুলুক গ্রামের সোমনাথ ঘোষের বাড়িতে চুরি হয়। কাজ থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় রাতে তিনি নিজের বাড়িতে না এসে কিছুটা দূরে মায়ের বাড়িতে থেকে যান। পরে সকালে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বাড়িতে চুরির খবর পান।
সোমনাথবাবু বলেন, বাড়ির সদর দরজা ভেঙে চোরেরা চার হাজার টাকা, একটি রুপোর চেন, বেশ কিছু কাঁসার বাসনপত্র, ওভেন সহ একটি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে পালিয়েছে। গত বছর জুলাই মাসেও সোমনাথবাবুর ফাঁকা বাড়িতে চুরি হয়েছিল। সেসময় তিনি পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু চুরির কিনারা হয়নি। এদিন ফের চুরি হওয়ায় সোমনাথবাবু সহ তাঁর পড়শিরা আতঙ্কিত।
ওই এলাকাতেই একটি মন্দিরেও এদিন রাতেই দু’জন চুরির চেষ্টা করে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই মুহূর্তের ফুটেজ ধরা পড়েছে। মন্দিরের পাশে একটি ঘরের দরজা কোনও ভারী বস্তু দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছিল দু’জন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরও দরজা ভাঙতে না পেরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরির কিনারা না হওয়ার কারণেই চোরেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদিন চুরির খবর জানার পরও দীর্ঘক্ষণ ঘটনার তদন্তে পুলিস এলাকায় আসেনি। সোমনাথবাবু বলেন, আমি রাতে বাড়িতে না থাকার সুযোগে চোরেরা হানা দেয়। আগেও একবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। পুলিসকে অনেকক্ষণ আগে চুরির বিষয়ে জানালেও তদন্ত করতে আসেনি। আমরা অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছি। মন্দিরের প্রধান সেবাইত সুজয় সেন বলেন, রাত আড়াইটে নাগাদ চুরি চেষ্টা হয়েছিল। দু’জন মুখে কাপড় বেঁধে মন্দিরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিসের কাছে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।