• বেতন থেকেই মিড ডে মিলের খরচ চালাবেন প্রধান শিক্ষকরা
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা ও সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: প্রধান শিক্ষকদের বেতন থেকেই চালাতে হবে মিড ডে মিলের খরচ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিওর নজিরবিহীন নির্দেশিকাকে ঘিরে রা঩জ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরকারি নিয়মে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্লকে আগের মাসের মিড ডে মিলের রিপোর্ট জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ব্লকের ২০টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিড ডে মিলের রিপোর্ট জমা দেননি। আর তাতেই প্রশাসনের কোপের মুখে পড়েছেন তাঁরা।

    একাংশের সাফাই, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে স্কুল ছুটি থাকায় মিড ডে মিলের রিপোর্ট পাঠাতে পারেনি স্কুলগুলি। ব্লকে রিপোর্ট জমা করতে গিয়েও ঘুরে আসতে হয়। তাই শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি বলে দাবি বিলধা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিষেক মণ্ডলের। শুক্রবার প্রকাশিত নির্দেশিকায় প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল, এসএসকেগুলিকে বলা হয়, রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় তাদের জুলাই মাসের মিড ডে মিলের টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। সেই খরচ প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের বেতন থেকেই বহন করবেন। বিডিও তাপসকুমার পাল বলেন, ‘প্রতি মাসের ১-৯ তারিখের মধ্যে ব্লক মিড ডে মিল সেকশনে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া আছে স্কুলগুলিকে। বারবার বলার পরেও ওই স্কুলগুলি রিপোর্ট জমা করেনি। ফলে গোটা ব্লকের মিড ডে মিল পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এই নির্দেশিকা।’ 

    শিক্ষক মহলের অভিযোগ, মাসের পর মাস নিজের পকেট থেকে মিড ডে মিল চালানোর পর দেরি করে বিল দেওয়া হয়। অথচ শিক্ষকরা রিপোর্ট জমা করতে একদিন দেরি করায় নিজেদের বেতন দিয়ে মিড ডে মিল চালানোর অর্ডার জারি হল। পিএম পোষণ যোজনায় শিক্ষকদের বেতন কেটে নেওয়ার কোনও গাইডলাইন রয়েছে‌ কি? প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক মহল। একটি প্রধান শিক্ষক সংগঠনের শীর্ষনেতা চন্দন মাইতি বলেন, ‘শিক্ষকরা বিডিওর কর্মচারী নন। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিডিওকে বদলি করতে হবে।’ 

    সহকারী প্রধান শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য নেতা সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘মাসিক রিপোর্ট জমা দেওয়া উচিত। তবে, বিডিওর এই ফতোয়া দেওয়ার এক্তিয়ার নেই বলেই জানি।’ প্রত্যেকদিন কত ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিল খেল, তার রিপোর্ট এসএমএসের মাধ্যমে দিতে হয় প্রধান শিক্ষকদের। কিছুদিন আগেই রাজ্যস্তরে একটি নির্দেশিকা জারি করে সেই রিপোর্টটিও নিয়মিত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)