• ছাত্রছাত্রী-চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা? উঠছে প্রশ্ন,  চারভাগের একভাগ সিসি ক্যামেরাই বিকল!
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা ও কলেজ বিল্ডিং মিলিয়ে সবশুদ্ধ ২১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। কিন্তু তার চারভাগের এক ভাগ সিসি ক্যামেরাই খারাপ! নৃশংস ঘটনাটি যেখানে ঘটে, চেস্ট মেডিসিনের সেই সেমিনার রুম তো বটেই, এখানকার কোনও সেমিনার রুমেই নেই কোনও সিসিটিভি। শনিবার হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে এই বিস্ফোরক তথ্য। সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছিল ঠিকই। বর্তমানে সেগুলির ৪৮টিই অকেজো হয়ে রয়েছে বলে খবর। সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে এখানকার মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের পঠনপাঠনের কেন্দ্র আকাডেমিক বিল্ডিং। সাততলা এই বাড়ির টপ ফ্লোরে রয়েছে লাইব্রেরি। তার ঠিক নীচে রয়েছে গবেষণাকেন্দ্র মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইউনিট (এমআরইউ)। এই দু’টি জায়গায় যথাক্রমে ৩২টি এবং ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে একটিও সিসিটিভি  ক্যামেরা চলে না। দু’টি জায়গাতেই রোজ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এবং চিকিৎসকের আনাগোনা লেগে থাকে। কাজের সূত্রে আসা-যাওয়া করতে হয় হাসপাতালের মহিলা কর্মীদেরও। কেউ জানেনও না যে তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেসব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে, তার একটিও কাজ করে না! 

    এই চিত্র শুধু আর জি কর নয়, কলকাতা সহ রা঩জ্যের কমবেশি সব মেডিক্যাল কলেজের বলেই জানা যাচ্ছে। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে যেমন ছাত্র ও ছাত্রীদের সাতটি হস্টেল রয়েছে। বাইরের গেট বাদে একটিতেও কোন সিসিটিভি নেই। তবে একাধিক মেডিক্যাল কলেজের কর্মী ও আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, যখনই সর্বত্র সিসিটিভি লাগানোর কথা হয়, শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের একাংশের তরফে আপত্তি ওঠে। হস্টেলগুলির গেটে সিসিটিভি লাগানো হলে সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়। বেশি সিসিটিভি লাগাতে চাইলেই বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি আসে। পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের অবশ্য বক্তব্য, এরকম নৃশংস ঘটনার পর এসব যুক্তি আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)