• হাওড়া শহরে কল খুললে দুর্গন্ধযুক্ত ঘোলা জল, প্রবল আতঙ্কে নাগরিকরা
    বর্তমান | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পানের অযোগ্য হয়ে উঠেছে পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল। কল খুললে জল বেরচ্ছে বটে তবে তা দুর্গন্ধযুক্ত। বাধ্য হয়ে রোজ টাকা খরচ করে বাজার থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এর হাত ধরে জল ব্যবসায়ীরা ফুলেফেঁপে উঠছেন। উত্তর হাওড়ার প্রায় দশটি ওয়ার্ড এই সমস্যায় জেরবার। তবে পুর কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, সমস্যার সুরাহা হবে।

    উত্তর হাওড়ার এক থেকে ছ’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে পুরসভার দেওয়া জল পান করা যাচ্ছে না। জলের লাইন খুললেই দুর্গন্ধযুক্ত জল বেরচ্ছে। ঘোলাটে জল পান তো দূরের কথা, রান্নার কাজেও ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা পানীয় জল দোকান থেকে কিনে খাচ্ছেন মানুষ। ২০ লিটারের একটি জলের ড্রাম কিনতে দিতে হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। যাঁদের কিনে খাওয়ার সঙ্গতি নেই তাঁরা সেই  বালি এলাকা থেকে জল ভরে নিয়ে আসছেন। একই সমস্যা ১৩ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও। নবীন ঘোষ লেন, উত্তম ঘোষ লেন, শশীভূষণ মুখার্জি লেন, ঘোষপাড়া লেনের বাসিন্দাদের বক্তব্য, জল নিয়ে বছরভর সমস্যা লেগেই রয়েছে। কোথাও বৃষ্টির জমা জলে প্রাণ ওষ্ঠাগত। কোথাও পানীয় জলের সমস্যা। অনেকে আবার এই ঘোলা জল খেয়ে পেটের সমস্যায় ভুগছেন।

    ঘোলা জল নিয়ে দেখা দিয়েছে অন্য এক সমস্যাও। দুর্গন্ধযুক্ত ঘোলা জল ব্যবহার করা ছাড়েনি পথের ধারে থাকা অধিকাংশ খাবারের দোকান। সেই জলেই রান্না, বাসন ধোওয়ার কাজ করছে। ফলে অবিলম্বে জল পরিশ্রুত করার কাজ না হলে পেটের সংক্রমণের অসুখে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এ সময় গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যায়। ফলে পদ্মপুকুর প্ল্যান্টে জল পরিশ্রুত করার পরও ঘোলাটে ভাব থেকে যাচ্ছে। জল দূষণমুক্ত করার জন্য বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম অ্যালাম ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)