লোকসভা নির্বাচনের পর প্রায় দেড় মাস দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে 'সাময়িক বিরতি'-র কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সেনাপতি দিয়েছিলেন বিশেষ বার্তা। 'এই এক দেড় মাস আপনারা আমাকে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখেননি। তার কারণ, আমি পর্যালোচনা করছিলাম। সেই পর্যালোচনার ফল আপনারা তিন মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন', তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।শনিবার আমতলায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনি। সন্ধ্যায় অভিষেক বলেন, '২১ জুলাই তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেছিলাম। তিন মাসের জায়গায় হয়তো চার মাস হতে পারে। সামনে পুজো রয়েছে। অক্টোবর মাসে কিছু করা যাবে না। অপেক্ষা করুন নিশ্চিত ভাবেই সাংগঠনিক রদবদল হবে।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু না বললেও দলের প্রথম সারির নেতাদের পর্যবেক্ষণ, জেলা স্তর থেকে ব্লক, টাউন স্তর পর্যন্ত সাংগঠনিক রদবদল করার সম্ভাবনা রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালের তুলনায় বেশ ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল। ২৯টি আসন এসেছে রাজ্যের শাসক দলের ঘরে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রতিটি কেন্দ্রে গিয়ে সভা করেছিলেন ভোটের আগে। আপাতত সমস্ত রাজনৈতিক দলের নজরে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেরা এই মুহূর্তে বিধানসভায় শূন্য। বিজেপির বহু জয়ী বিধায়ক নাম লিখিয়েছে রাজ্যের শাসক দলে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।