আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিলের নির্দেশ
এই সময় | ১১ আগস্ট ২০২৪
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। শুক্রবার থেকেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। শনিবার রাজ্যের প্রায় সমস্ত হাসপাতালের চিকিৎসকরাই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল। একাধিক মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীরা শনিবার বিকেলে মিছিল করে এসে হাজির হন আরজি কর হাসপাতালে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।এই পরিস্থিতিতে এবার আরজি কর হাসপাতালের সমস্ত স্টাফেদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। শনিবার একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরজি করের মেডিক্যাল সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপ্যালের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, আগে থেকে যে সমস্ত ছুটি অনুমোদিত ছিল তা বাদ দিয়ে নতুন করে হাসপাতালের স্টাফদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হল। বর্তমান সময়ে এই নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব থেকে চিকিৎসক সঞ্জয় বশিষ্ঠকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে।
উল্লেখ্য, আরজি করকাণ্ডে ইতিমধ্যেই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পরেই হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা থেকে শুরু করে একগুচ্ছ দাবিতে পথে নেমেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি করকাণ্ডে শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন, 'মনে হল পরিবারের কাউকে হারালাম। নক্কারজনক ঘটনা। দোষীর মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির দাবি করব।' অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতেও আপত্তি নেই, জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘এখানে রাজ্যের লোকানোর কিছু নেই।’
এ দিকে আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন বিল বা অধ্যাদেশ আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। যেখানে সাত দিন থেকে এক মাসের মধ্যে ধর্ষকদের বিচার হবে এবং তাঁদের এনকাউন্টার বা মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দিতে হবে, দাবি করেন অভিষেক। পাশাপাশি আরজি করের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এক মায়ের কোল খালি হয়ে গেল।’