বাঁকুড়ায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যুবক
এই সময় | ১১ আগস্ট ২০২৪
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের বড় চাতড়া গ্রাম ও নিমতলার মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে শালী নদী। এলাকার ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই এই নদীর উপরে একটি কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই দাবি পূরণ হয়নি বলেই অভিযোগ। এদিকে দাবি পূরণ না হওয়ার শালী নদীর উপর গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে করা হয় একটি অস্থায়ী কাঁচা রাস্তা। কিন্তু বর্ষায় শালী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় সেই রাস্তাও এখন জলের তলায়। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে কৃষক, রোগী ও সাধারণ মানুষ। এমনকী ঘটে যাচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও। এবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন এক যুবক।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন এই রাস্তার উপর দিয়েই। কিন্তু রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় এখন রীতিমতো জীবন হাতে নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে তাঁদের। এইভাবে রাস্তা দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে হঠাৎই জলে ডুবে যাচ্ছিলেন এক যুবক। তবে কোনক্রমে সাঁতরে প্রাণে বাঁচেন তিনি। পাশাপাশি মাথায় সাইকেল নিয়ে পারাপার করতেও দেখা যায় এলাকার মানুষজনকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে গিয়েছে একাধিকবার।
এই বিষয়ে সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওই এলাকায় রাস্তা সহ ব্রিজ তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এমনকী খরচের এস্টিমেটও তৈরি হয়েছে। দ্রুতই এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান হবে।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি জানান, এটা ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা। ওখানে একটি ব্রিজের অতি অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এমনকী এই এলাকায় ব্রিজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই তিনি বিধানসভায় দরবারও করেছেন বলে জানান বিধায়ক। জানিয়েছেন জেলাশাসককেও। এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান হবে বলেই আশাবাদী তিনি।
এদিকে এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, 'এটি আমাদের এখানের একটি সমস্যা, স্থানীয় সমস্যা। বর্ষার সময় এই ধরনের যাতায়াত খুব ঝুঁকির হতে পারে। কিছুদিন আগেই পাত্রসায়েরে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমরা সব মানুষকে অনুরোধ করব যাতে তারা এইভাবে নদী বা খাদ পারাপার না করেন। সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য পঞ্চায়েতকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।' সেক্ষেত্রে এখন দেখার কবে পূরণ হয় এলাকাবাসীর দাবি।