সন্তান ভর্তি বর্ধমান হাসপাতালে। তাই সন্তানের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডেই ছিলেন মা। আর অপরদিকে ভর্তি এক বয়স্ক ব্যক্তি। যাঁর জামাই তাঁকে ভর্তি করে ছিলেন। এবার এমন পরিস্থিতি দেখে অপর বেডে ভর্তি থাকা শ্বশুরকে দেখতে এসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে শিশুর মায়ের দিকে এগিয়ে গেলেন যুবক। আর কাছে গিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন বলে অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। ভয় পেয়ে ওই গৃহবধূ চিৎকার শুরু করেন। তখন অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দিলেন রোগী পরিজনরা।
এই অশ্লীল ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই অভিযুক্তের নাম ইন্তাজুল মণ্ডল। কাটোয়া হাসপাতালে পুরুষদের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন তাঁর শ্বশুর ওমর আলি। পাশে মহিলাদের সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। সেখানে চিকিত্সা চলছে গৃহবধূর শিশুকন্য়ার। খাট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে শিশুটি। তাই রাতে ওই শিশুকন্যার সঙ্গে ছিল তাঁর মা। এখানেই এই গৃহবধূকে দেখে নিজের ট্রাউজারের চেন খুলে স্বমেহন করতে শুরু করেন ইন্তাজুল। আর গৃহবধূর কাছে গিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করেন বলে অভিযোগ।
এমন পরিস্থিতি দেখে ওই গৃহবধূ চিৎকার জুড়ে দেন। যা শুনে ছুটে আসেন সকলে। আর তাতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে। অভিযুক্তকে তখন মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই যুবকের বাড়ি কাটোয়া থানার মুলটি গ্রামে। নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ, রবিবার সকাল অভিযোগ দায়ের করা হয় কাটোয়া থানায়। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
এছাড়া এখন আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। সেখানে কাটোয়া হাসপাতালে এমন ঘটনা বেশ আতঙ্কের। কারণ যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন–ধর্ষণ করার অভিযোগে তার মোবাইলে বিপুল পরিমাণ পর্ণ ভিডিয়ো পেয়েছে পুলিশ। আর কাটোয়া হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে সেটাও বিকৃত মানসিকতার লক্ষণ। এই বিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ‘এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। কাটোয়া থানাকে ব্য়বস্থা নিতে বলেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বলেছি। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’