• দিঘা–মন্দারমণিতে এবার নয়া উদ্যোগ প্রশাসনের, নজরদারিতে নামানো হচ্ছে স্পিডবোট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • দিঘা–মন্দারমণিতে ইদানিং জলে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। তারপরও এই নিয়ে কোনও হেলদোল নেই পর্যটকদের মধ্যে। কোনও বাধাই তাঁরা মানছেন না। বরং ঝাঁপিয়ে পড়ছেন উত্তাল সমুদ্রে। এবার এইসব দুর্ঘটনা ঠেকাতে স্পিডবোটে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এখন ৮টি স্পিডবোট কেনা হচ্ছে। নুলিয়ারা স্পিডবোটে প্রত্যেকটি ঘাটে নজরদারি চালাবেন। একের পর এক পর্যটকের সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। আর তা নিয়েই চিন্তিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এই কারণে জলপথে নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এই সিদ্ধান্তে দুটি বিষয় সম্ভব হবে। এক, সমুদ্রে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। দুই, তলিয়ে যাওয়া পর্যটককে দ্রুত উদ্ধার করা যাবে। মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত দিঘা–মন্দারমণি সমুদ্রস্নানে নেমে ১০ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ জুলাই দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে যান টিটাগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর নন্দী। তাঁর মৃত্যু হয়। আর ২২ জুলাই শঙ্করপুরে পাথরের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে জলে ভেসে যায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ন্তি পাটোয়ারি। ১৬ জুলাই মন্দারমণিতে সমুদ্রে নেমে দুর্গাপুরের তিন পর্যটকের মৃত্যু হয়। মন্দারমণিতে সমুদ্রে নেমে তলিয়ে যান হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা অনুপম বর্মণ। এমনকী সম্প্রতি দিঘায় বেড়াতে এসে হুগলির এক পর্যটক উদয়পুরের সমুদ্রে তলিয়ে মারা যান।

    এই সব ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।। কারণ ১৬ জুন মন্দারমণির সমুদ্রে বিহারের মুজফ্ফপুরের মণীশ কুমার তলিয়ে মারা যান। ১৪ জুন দিঘার জগন্নাথঘাটে তলিয়ে মারা যান মধ্যমগ্রামের কিশোর শুভজিৎ দে। ২৫ মে দিঘায় ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা বেদপ্রকাশ সাহু তলিয়ে মারা যান। সুতরাং এতগুলি মৃত্যুর ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, ‘‌৮টি স্পিডবোট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে দুর্ঘটনা রোখার জন্য।’‌ পুলিশের দাবি, বহু পর্যটক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেন। আর উত্তাল সমুদ্রে নেমে পড়েন। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে এভাবে মেতে উঠতে গিয়েই তলিয়ে মৃত্যু হয়। তাই নুলিয়ারা এবার থেকে স্পিডবোটে প্রত্যেকটি ঘাটে নজর রাখবেন।

    তাছাড়া দিঘা–মন্দারমণি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। সেখানে তাই নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যা শোনেন না কিছু পর্যটক বলে অভিযোগ। জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। যার জন্য মৎস্যজীবীদের পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়। নিম্নচাপ ও কোটালের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। তখন দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে। এই বিষয়ে ডিএসপি আবু নুর হোসেনের বক্তব্য, ‘‌দিঘার সি–হক ঘোলা ঘাট, ক্ষণিকা ঘাট, পুলিশ হলিডে হোম ঘাট–সহ প্রত্যেকটি ঘাটে পর্যটকদের সচেতন করার কাজ চলছে। সর্বক্ষণ মাইকিং চলছে। সতর্কীকরণ বোর্ড রয়েছে। মন্দারমণিতেও সচেতনতা ও নজরদারি চলছে। পুলিশ ও নুলিয়াদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)