• সব থানাতেই বসতে চলেছে ‘‌নাইট ভিশন ক্যামেরা’‌, লালবাজারের ফরমানে চাপে পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা থানাগুলিতে কড়া নজর রাখতে চলেছে লালবাজার। বাংলা–সহ ভিন রাজ্যের লকআপে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই সংবাদে চলে আসে। তার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। একবছর আগে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় চোরাই মোবাইল জমা দিতে এসে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। লালবাজারের তদন্তে থানায় ঢোকা এবং বের হওয়ার রাস্তার সিসিটিভি ফুজেট মিলেছিল। কিন্তু থানার ভিতরে অফিসারদের ঘরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কী ঘটেছিল, সেই ফুটেজ মেলেনি। তার উপর দু’‌দিন আগে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাও নাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশকে।

    এইসব নানা ঘটনার জেরে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে লালবাজার। দেশের সব থানার ১৪টি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ আগেই দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে সব থানাতেই দ্রুত নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। প্রত্যেক থানার ফুটেজ যাতে পিটিএস–এর নতুন ডেটা সেন্টারে আসে, সেই পরিকল্পনাও করা হয়েছে। তাতে কোনও কিছুই পুলিশকর্তাদের নজর এড়াবে না। ২০২৪ সালে ২৮টি থানায় অত্যাধুনিক সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। তবে অর্থের কারণে দু’‌বছর আটকে বাকি থানায় সিসিটিভি লাগানোর কাজ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ থানাতেই করা হয়। দরকারে তা চেয়ে পাঠালে লালবাজারকে দেওয়া হয়। লালবাজারে যে ডেটা সেন্টার রয়েছে সেখানে ফুটেজ ও ডেটা স্টোরেজের জায়গা কমছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে দুর্গাপুজোর মধ্যেই কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে একটি আধুনিক ডেটা সেন্টার তৈরি করছে লালবাজার। থানার ক্যামেরার ফুটেজ সার্ভারের মাধ্যমে নতুন ডেটা সেন্টারে স্টোর হবে। ইতিমধ্যেই ২৮টি থানায় নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানোর জন্য প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, থানায় ঢোকা–বেরোনোর পথ ছাড়াও লক আপ, লবি, রিসেপশন এবং অফিসারদের রুমেও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে। এমনকী টয়লেটের বাইরেও লাগাতে হবে ক্যামেরা।

    এছাড়া নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো নিয়ে পুলিশ মহলের মধ্যে দু’‌রকম বিষয় চর্চা হচ্ছে। থানায় থাকা পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন, এটা আসলে লালবাজারের একপ্রকার গোয়েন্দাগিরি। আর লালবাজার সূত্রে খবর, সর্বোচ্চ আদালতের রায় তো মানতেই হবে। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‌যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব থানাতেই নিয়ম মেনে সিসিটিভি ইনস্টল করা হচ্ছে। এটা কাজের ক্ষেত্রে অনেক স্বচ্ছতা আনবে। পুলিশকে বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এই কাজ সম্পন্ন হলে আর প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)