• আরজি করে ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা, দেশজুড়ে রেসিডেন্ট ডক্টরদের ধর্মঘট ঘোষণা
    আজ তক | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • RG Kar Doctor Murder: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠন 'ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন' ১২ অগাস্ট থেকে সারা দেশে ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে। সব সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সমিতিকে এই ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ওপিডি, ইলেকটিভ সার্জারি ও ল্যাবের কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আরডিএ তার পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের ধর্মঘটে যাওয়ার নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরাও নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ করছেন। হাসপাতাল বন্ধ। জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন যে পুলিশ মাত্র একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যেখানে আরও অনেকে এই জঘন্য ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।

    তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তারের পিছনে পরিকল্পিতভাবে বড় কিছু আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে দেওয়া হয়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা হাসপাতালের কাজ বন্ধ রাখবেন তাঁরা বলে জানিয়েছেন।

    রবিবার আরজি করের রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সাদা কাগজে ছাপা ওই চার দফা দাবি প্রকাশ করা হয়েছে।

    দাবি-১
    এর মধ্যে প্রথমটি হল, অভিযুক্তকে গ্রেফতার, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং প্রাণদণ্ড। পাশাপাশিই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সিসিটিভি ফুটেজে যে প্রমাণ মিলেছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে তা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদেরও সবিস্তার জানাতে হবে।

    দাবি-২
    লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, হাসপাতালের সুপার, বুক এবং ফুসফুসের চিকিৎসা বিভাগের প্রধান এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্বর্তী থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে।

    দাবি-৩
    আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের তৃতীয় দাবিটি হল-অবিলম্বে নিহতের পরিবারের জন্য উপযুক্ত অর্থসাহায্য ঘোষণা করতে হবে।

    দাবি-৪
    তদন্ত কত দূর এগোচ্ছে, তা নিয়মিত ব্যবধানে লিখিত ভাবে জানাতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে।

    হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই চার দফা দাবি সম্পূর্ণ না মানা পর্যন্ত হাসপাতালে জরুরি এবং সাধারণ পরিষেবা দেওয়া বন্ধ রাখবেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থনের আহ্বানও জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ এবং দেশের চিকিৎসক সংগঠনগুলির কাছে। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘সুবিচারের দাবিতে আমরা সরব হয়েছি। এই জরুরি সময়ে আপনারাও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হোন।’’

     
  • Link to this news (আজ তক)