আর জি কর কাণ্ডের জের, সোমবার থেকে দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসক সংগঠনগুলির
প্রতিদিন | ১২ আগস্ট ২০২৪
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন হেনস্থা ও খুনের ঘটনার রেশ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে। এই ঘটনার সুবিচারের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে (Suspension of Work) নামতে চলেছেন সংগঠনের সদস্যরা। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। অন্যদিকে, আর জি কর হাসপাতালের সুপারকে অপসারণের পরও আন্দোলনের আঁচ কমছে না। দলমত নির্বিশেষে ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, প্রিন্সিপালকে সরাতে হবে। অন্যথায় তাঁরা কেউ কাজ করবেন না।
এসএফআই-সহ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) একাধিক ছাত্র সংগঠন দলমত নির্বিশেষে এই ইস্যুতে এককাট্টা হয়েই প্রতিবাদে সরব। রবিবার সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরানোর পরও নিজেদের দাবি থেকে একচুল সরেননি আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, সুপারের অপসারণ চোখে ধুলো দেওয়া। প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে সরাতে হবে। তাঁর সময়েই যত কেলেঙ্কারি ঘটেছে। বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি, সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা-সহ চার দফা লিখিত দাবিপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ (Resign) করতে হবে হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, চেস্ট এবং ফুসফুসের চিকিৎসা বিভাগের প্রধানকে। ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে সাফ জানিয়েছেন। তাঁদের এই কর্মসূচিতে সমাজের বিশিষ্টজনদের শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
এদিকে, তদন্তের জন্য রবিবার বিকেলে আর জি করে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল। সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনার তদন্তে তৈরি হওয়া কলকাতা পুলিশের SIT-এর সদস্যরাও আজই প্রথম হাসপাতালে গেলেন। রবিবার দুপুরে তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছে ঘটনাস্থলে যান। ছিলেন সায়েন্টিফিক উইংয়ের বিশেষজ্ঞরাও। প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়াতে এদিন আর জি করে যান সমাজকর্মী অম্বিকেশ মহাপাত্র।