অর্ণব দাস, বারাকপুর: সুপারি দিয়ে তরুণীকে যৌন নির্যাতন-খুন! আর জি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের। তাঁদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হাসপাতালের ভিতরের কেউ বা কারা। দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
আর জি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব সবমহল। দোষীর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার সকলে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি। মৃতার বাবা-মায়ের দাবি, ধৃতকে সুপারিও দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হাসপাতালের ভিতরের কেউ বা কারা। এদিন কলকাতা পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টিও জানান। একইসঙ্গে পরিবারের থেকেও তথ্য জানতে চান তারা। সেই সময় বিস্ফোরক দাবি করে পরিবার। মৃত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার কথায়, “আমরা সঠিক বিচার ও গোটা চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছি। আমাদের সন্দেহ হাসপাতালে ভিতরের লোক জড়িত। আমার মেয়ে চাপে ছিল। ও বলত আমার আর আর জি করে যেতে ভালো লাগে না। কারণ, ঠিক করে ওকে কাজ করতে দেওয়া হত না। সিনিয়র ডাক্তারের সহযোগিতা করত না। বেশি করে কাজ করানোর চেষ্টা করত, চাপে রাখত। নাইট ডিউটি করত, কিন্তু ঘুমোনোর জায়গা ছিল না। চারজন ছেলের সঙ্গে একজন মেয়ে কি করে রাতে ডিউটি করবে, অসুবিধা তো হবেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর মতো ব্যবস্থাও ছিল না বলেই অভিযোগ। এর পরই সুপারির প্রসঙ্গও উঠে আসে তাদের মুখে। তাঁদের কথায়, “যে গ্রেপ্তার হয়েছে তাকে টাকা দিয়েও তো একাজ করানো হতে পারে। আরও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।”
যদিও মৃতার বাবা-মা মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন। কান্না জড়ানো গলায় তরুণীর মা বাবা বলেন, “আমরা সবসময়ই রাজ্য সরকারের উপর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছি, পুলিশের উপরও আস্থা রয়েছে।” অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিনে যে তদন্ত হয়েছে, তা মা-বাবাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটাও জানিয়েছি। পরিবারের বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।