কীভাবে এতবড় ঘটনা ঘটল? বুঝেই উঠতে পারছেন না ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারয়ের পরিচিতরা...
আজকাল | ১২ আগস্ট ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবুও পুরো ঘটনা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না ওই কর্মীর পরিবার এবং গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা। গ্রামের এক বাসিন্দা সৌমেন পন্ডিত জানান, 'মদ না খেয়ে থাকলে ওর মত ছেলেই হয় না। ব্যবহার খারাপ নয়। তবে মদ খেলেই ও অন্যরকম হয়ে যেত। বাড়ি বা পাড়ায় চেঁচামেচি করত মাঝেমধ্যে মদ খেয়ে। প্রথমে খবর শুনে বিশ্বাস না হলেও পরে টিভিতে দেখে জানতে পারি ও এইরকম করেছে'।
অভিযুক্তের বাবা কালাচাঁদ রায় জানান, 'আমি ঠিক জানি না কী হয়েছিল! এমনিতে ওর স্বভাব ভালই ছিল। তবে একটু অস্বাভাবিক হয়ে যেত মাঝেমধ্যে। নার্ভের সমস্যাও আছে।' তাঁর ধারণা, হাসপাতালে ইঞ্জেকশন সাপ্লাই নেই জানতে পেরেই ও সম্ভবত উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তা থেকেই তর্কাতর্কি করে থাকবে। চিকিৎসককে হেয় কীভাবে করেছে তা তাঁর জানা নেই। উল্লেখ্য, শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শনিবার রাত ২ টো ১৫ নাগাদ ভাতার থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার সুশান্ত রায় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান। জানা গিয়েছে, ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রচণ্ড মদ্যপ অবস্থায় চিকিৎসা করাতে যান।
মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিকিৎসা করার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেন কিন্তু হঠাৎ করে ওই সিভিক কর্মী তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেয় এবং প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকে। বলা হয়, আরজি করে কি হয়েছে জানেন তো? এরপর ওই মহিলা চিকিৎসক ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অন্যান্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডাকেন এবং থানার ফোন নম্বর নেন। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সমস্ত নার্স এবং চিকিৎসকেরা ভাতাড় থানায় ডেপুটেশন দেন।
তাদের দাবি, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শাস্তি দিতে হবে। শনিবারই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়কে ভাতার থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুশান্ত রায়ের বর্ধমান ভাতার রোডের কামনাড়ায় ডিউটি ছিল। ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে যান। তারপরেই এই ঘটনার সূত্রপাত।