• ওই রাতেও পর্ন ফিল্ম দেখেছিল সঞ্জয়-মদ খেয়েছিল, তারপর...
    আজ তক | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • RG Kar Hospital Case: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরায় একের পর হাড় হিম করা তথ্য সামনে আসছে। যদিও ওই ট্রেনি ডাক্তারকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই সঞ্জয় ছাড়াও আরও যে কয়েকজন সরাসরি জড়িত থাকতে পারে এই ঘটনায়, তাদের এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল না, সে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের আগে আকণ্ঠ মদ খেয়েছিল সঞ্জয়। দেখেছিল পর্ন ফিল্ম।

    আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের ৪টি বিয়ে

    আর জি কর হাসপাতালে ট্রেনি ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণের মতো নৃশংসতার ছবি উঠে আসছে এই ঘটনায়। আর জি কর-এর সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন আজ গোটা দেশে কর্মবিরতি হরতালের ডাক দিয়েছে প্রতিবাদে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ৪টি বিয়ে। সঞ্জয়ের নোংরা আচরণের জন্য আগের স্ত্রীরা ছেড়ে চলে গিয়েছে। চতুর্থ স্ত্রী ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন।  সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপাতত তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। 

    সঞ্জয় মদ খেত ও পর্ন ফিল্ম দেখার নেশা ছিল

    পুলিশ সূত্রের খবর, সঞ্জয় মদ খেত ও পর্ন ফিল্ম দেখার নেশা ছিল। ঘটনার দিনও মদ্যপ ছিল ও পর্ন ফিল্ম দেখেছিল। গত শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ মদ খেয়ে পর্ন ফিল্ম দেখেছিল হাসপাতালেই বসে। এরপর ভোর ৪টেয় সঞ্জয়কে দেখা যায় পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে দেখা যায়। এরপর পৌনে ৫টা নাগাদ তাকে দেখা যায় মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে বেরোতে। 

    রক্ত ধোওয়ার চেষ্টা করেছিল, জামাকাপড়ও পাল্টে ফেলে

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, খুনের পর সে রক্ত ধোওয়ার চেষ্টাও করেছে। ঘরে ফিরে জামা কাপড়ও ধুয়ে নেয়। অন্য জামাকাপড় পরে। কিন্তু ঘটনার সময় যে জুতোটি সঞ্জয় পরেছিল, তা পুলিশের জিম্মায়। সঞ্জয়ের মোবাইলে দেখা গিয়েছে, পর্ন ভিডিও ভর্তি।

    প্রথমে খুন, তারপর ধর্ষণের সম্ভাবনা

    লালবাজারের এক কর্তার বক্তব্য, অভিযুক্ত প্রথমে সম্ভবত খুন করে। তারপর ওই লেডি ডাক্তারকে ধর্ষণ করে। অর্থাত্‍ মৃতদেহ ধর্ষণ করা হয়। কারণ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানা গিয়েছে, তরুণীর চোখ ফেটেও রক্ত বেরিয়েছে। গোপনাঙ্গ থেকে রক্ত বেরিয়েছে। গায়ে আঁচড়ের দাগ ভর্তি। হাড়ও ভাঙা হয়েছে।
  • Link to this news (আজ তক)