• দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি, পেটে রড ঢুকে জখম ১
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: নিকাশি নালা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। ব্যাপক বোমাবাজি হল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। এর মধ্যে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁর পেটে লোহার রড ভরে দেওয়া হয়। রবিবার দুপুরে সিউড়ি ২ ব্লকের দমদমা পঞ্চায়েতের বাঁশরা ও ছোট কুষ্টিকুড়ি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিস। যদিও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশরা গ্রামে একটি নিকাশি নালা ঘিরে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জল বাড়লে পুকুরের জল ওই নালা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে সমস্যা তৈরি হয়। শনিবার পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা গ্রামে আসেন সেই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, তা দেখতে। এর মধ্যে একজন ঠিকাদারও ছিলেন। জানা যায়, যখন গ্রামের ওই নালা তৈরি করা হবে বলে বলা হচ্ছিল, তখন একজন বলেন, কিছু বাড়িও ভেঙে ফেলা হবে। কিছু দখল জায়গা গুঁড়িয়ে দিয়ে নালা তৈরি করা হবে। আর সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই রাতেই কুষ্টিকুড়ি গ্রামের একজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে বাঁশরা গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। পরের দিন দুপুরে পাল্টা অপরপক্ষ বাঁশরা গ্রামে এসে হাজির হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুহুর্মুহু বোমা ফাটতে থাকে। গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। উল্টোদিকে এই দিকের গ্রামের লোকজনও অস্ত্র, লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিস ঘটনাস্থলে আসার পরেও দফায় দফায় বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। 

    পরে ঘটনাস্থলে আরও পুলিস বাহিনী হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে, এই সংঘর্ষের কারণে জখম হন নজরুল শেখ নামের এক যুবক। তাঁর পেটে রড ঢুকে যায় বলে জানা যায়। পাশাপাশি শাসকদলের নেতৃত্বে বিষয়টি নিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা চলে। কিন্তু সামান্য বিবাদেই যেভাবে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি হচ্ছে, তাতে আতঙ্ক বাড়ারই কথা! বাঁশরা গ্রামের বাসিন্দা অশ্বিনী দাস বলেন, পুকুরের নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ১০০ থেকে ১৫০টি পরিবারের খুব অসুবিধা হয়। ওই কারণে প্রধান ও অন্যান্য সবাইকে ড্রেন করার কথা বলা হয়েছিল। গতকাল এই নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে এসে আজ শতাধিক বোমা ফাটাল। আমরা সবাই মাঠে কাজ করছিলাম। পরে পুলিস এসে বিষয়টি মিটমাট করে। 

    এই প্রসঙ্গে সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা দলীয়ভাবে বসে ঝামেলা মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। তারপরও কেউ বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিস বিষয়টি দেখছে। বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, এটাই তৃণমূলের কালচার। কথায় কথায় বোমা মারা এদের স্বভাব।
  • Link to this news (বর্তমান)