• কান্দি-বহরমপুর সড়কে শিবভক্তদের ঢল, ১৭টি লঙ্গরখানা
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারের আগে রবিবার কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের পাশে ১৭টি লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা বিশাল বিশাল প্যান্ডেল বেঁধে লঙ্গরখানা খুলেছেন। শিবভক্তদের জলের বাঁক রাখার জায়গা, তাঁদের বসে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও লুচি, আলুর দম, বোঁদে, কোথাও খিচুড়ি-তরকারি, কোথাও পোলাও ও কাশ্মীরি আলুর দম দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ভক্তদের জন্য জুস, চকোলেট, কলা, মিষ্টির ব্যবস্থা করেছেন। রবিবার দুপুর থেকেই লঙ্গরখানা, জলসত্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সারা রাত ভক্তদের খাবার বিলি চলবে। বহু জায়গায় মেডিক্যাল টিম সহ রাতে বিশ্রামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    কান্দি মহকুমার ভরতপুর, কান্দি, খড়গ্রাম, বড়ঞা, বীরভূম জেলার ময়ুরেশ্বর থানা এলাকার বহু পুণ্যার্থী শ্রাবণের শেষ সোমবার বহরমপুরে ভাগীরথী থেকে জল ভরে নিয়ে যান। তাঁরা জল নিয়ে হেঁটেই নির্দিষ্ট মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। সেজন্য রবিবার দুপুর থেকেই কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে ভক্তদের ঢল নেমেছে। রাত বাড়ার সঙ্গে ধীরে ধীরে রাজ্য সড়কের ৩০ কিমি জনপ্লাবনে ভরে যায়। ভিড়ে রাজ্য সড়কে গাড়ি চলাচল প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পণ্যবাহী গাড়ি আটকে রাখা হয়। রাতে রাজ্য সড়কে সমবেত ‘ভোলে ব্যোম’ আর ডিজের আওয়াজ শোনা যায়।

    ভক্তদের বিশ্রাম আর খাবারের ব্যবস্থা করে রাখেন বিভিন্ন ক্লাবের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। খাগড়া থেকেই লঙ্গরখানা শুরু হয়েছে। রেলগেট, কলাবাগান, জীবন্তি, মহালন্দি কলোনি, গোকর্ণ, রণগ্রাম, মনোহরপুর, কান্দি মিলিয়ে এবার ১৭টি লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। বহু মানুষ জলের বোতল নিয়ে ভক্তদের সেবায় রাস্তায় বসে থাকেন।

    খাগড়াঘাট রেলগেট এলাকায় লঙ্গরখানা খুলেছেন বহরমপুরের চারা বকুলতলা এলাকার যুব দল। তাঁদের তরফে অমিত মণ্ডল বলেন, আমরা ভক্তদের জন্য জল শুকনো খাবার, ফলের রস, কলা, মিষ্টির ব্যবস্থা করেছি। আমরা ২০হাজার ভক্তের জন্য আয়োজন করে রেখেছি।

    কলাবাগানে ব্যানার টাঙিয়ে লঙ্গরখানা খুলেছে বহরমপুরের ‘আমরা সবাই’ যুবদল। তাদের তরফে শুভ বিশ্বাস বলেন, পুণ্যার্থীদের জন্য লুচি, আলুর দম, বোঁদে ও জলের বোতলের ব্যবস্থা রেখেছি। বসে খাওয়া এবং নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।

    গোকর্ণে একটি ক্লাব খাবারের পাশাপাশি ভক্তদের রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা করেছে। ক্লাবের সম্পাদক দীপ্তেশ সরকার বলেন, বহরমপুর থেকে প্রায় ২০ কিমি হাঁটার পর অনেকে এখানে বিশ্রাম করেন। তাই বড় প্যান্ডেল বেঁধে ভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পারশালিকার বাসিন্দা অনুপ ঘোষ বলেন, একটানা হাঁটার পর ক্লান্তি ও খিদে দুটোই বেড়েছিল। তবে রাস্তার ধারে প্রচুর লঙ্গরখানা থাকায় কোনও সমস্যা হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)