• ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে ১৮টি আলুবোঝাই গাড়ি বাজেয়াপ্ত
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রাজ্য সরকারের নির্দেশ উপক্ষো করে ভিন রাজ্যে আলু পাচারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রামপুরহাট থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে বেশকিছু আলু বোঝাই লরি ও পিকআপ ভ্যান বাজেয়াপ্ত করল। পুলিস জানিয়েছে, শনিবার রাত ও রবিবার সকাল পর্যন্ত আলুবোঝাই ১৬টি লরি ও পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়েছে। এছাড়া মহম্মদবাজার থানার ঝাড়খণ্ড সীমানার আঙারগড়িয়ার কাছে দু’টি আলুবোঝাই লরি আটক করে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। প্রসঙ্গত, দর নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আলু ভিনরাজ্যে পাঠানো যাবে না বলে টাস্কফোর্সের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে আলু সহ অন্যান্য সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারগুলিতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী পাইকারি বিক্রেতারা সব্জি, আলু, পেঁয়াজ বেআইনিভাবে মজুত করে রাখছেন কি না, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সেইমতো অভিযান শুরু করে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। যদিও আলু সহ অন্যান্য সব্জির দাম এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অভিযানও সেভাবে চোখে পড়ছে না। আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকার নীচে নামছেই না। পটল বাদে ৫০-৬০ টাকার নীচে কোনও সব্জি নেই। এরই মধ্যে অসম, বাংলাদেশ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে আলু পাচার করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    শনিবার রাতের অন্ধকারে রামপুরহাট দুমকা রোড ধরে ছ’টি আলুবোঝাই লরি সুঁরিচুয়া সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকছিল। পুলিস সেই লরিগুলি আটক করে। রবিবার ভোররাতে রামপুরহাটের মলুটি ও হস্তিকাঁদা জঙ্গলের ভিতরের রাস্তা ধরে ১০টি আলু বোঝাই লরি ও পিকআপ ভ্যান ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিস সবকটি আলুবোঝাই গাড়ি আটক করে রামপুরহাটে নিয়ে আসে।

    পুলিস জানিয়েছে, দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে লরি বোঝাই করে ঝাড়খণ্ডের মধুপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভিনরাজ্যে আলু পাঠানোর জন্যই গাড়িগুলি আটক করে পার্কিংয়ে রাখা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড সীমানায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া একটি লরির চালক রাহুল মণ্ডল বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থেকে ঝাড়খণ্ডের মধুপুরে নিয়ে যাচ্ছিলাম। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ পুলিস হস্তিকাঁদা সীমানায় লরি দাঁড় করায়। চালান দেখে তারা জানিয়ে দেয় সরকারের নিষেধ রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে আলু নিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপরই লরি আটক করে পার্কিংয়ে নিয়ে আসে। 

    মহম্মদবাজার থেকে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার রাস্তার আঙারগড়িয়ার কাছ থেকে দুটি আলুবোঝাই লরি আটক করে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরের একটি হিমঘর থেকে আলু বোঝাই করে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হচ্ছিল। জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক (ডিএসপি ডিইবি) স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, লরির চালকরা চাল আছে বলে জানায়। পরে দেখা যায় আলু রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় পাচার করা হচ্ছিল। যদিও আটক আলুবোঝাই গাড়িগুলির বিরুদ্ধে কোনও কেস করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বপনবাবু।   
  • Link to this news (বর্তমান)