সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়িতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একযুবককে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম যুবক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়িতে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জখম যুবক পিঙ্কু রায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে রবিবার সকালে নির্দিষ্টভাবে পাঁচজনের নামে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ। পুলিস জানিয়েছে, অলেশ অধিকারী ও ধনঞ্জয় অধিকারী নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে পিঙ্কু ও তাঁর বাবা কালিপদ রায় বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তাঁদের পথ আটকায় স্থানীয় পাঁচজন। অভিযুক্তরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। কালিপদবাবু পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে বাড়িতে এসে খবর দেন। ওই সময় অভিযুক্তরা পিঙ্কুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পিঙ্কু। পরিবারের লোকজন আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস এসে পিঙ্কুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
পিঙ্কু আমগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য কৌশল্যা রায়ের ভাগ্নে। ছেলেটি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় বলেন, দুই পরিবারের বিবাদ বলে জানতে পেরেছি। পুলিস নিশ্চই তদন্ত করে পদক্ষেপ করবে। (ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।)