• হরিরামপুর থানায় ‘ছায়া’র আতঙ্ক
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: নিশুতি রাতে থানায় আতঙ্ক! শনিবার রাত প্রায় একটা। হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার নিজের চেম্বারে বসে আপনমনে বিভিন্ন কেসের রিপোর্ট তৈরি করছিলেন। হঠাৎ সিসি ক্যামেরার মনিটরে নজর পড়তেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার মতো পরিস্থিতি। দেখলেন, মনিটরে চারটি  ক্যামেরার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে মানুষের মতো কারও ছায়া। প্রথমে দেখার ভুল ভেবে ফের কাজে মন দেন আইসি। কিছুক্ষণ পর ফের মনিটরে চোখ পড়তেই অস্বাভাবিক সেই একই ছবি দেখে দ্রুত থানার বাকি কর্মীদের হাঁক দেন আইসি। মনিটরে ছায়া দেখে তখন পুলিসকর্মীদের অনেকেই ভয়ে সন্ত্রস্ত। সিসি ক্যামেরা ও মনিটর বন্ধ করেও ছায়া না সরায় শুরু হয়ে যায় নানারকম আলোচনা।

    নিশুতি রাতে এমন আলোচনা শুনে আইসি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কর্মীদের নিজেদের কাজে যেতে বলেন। এমন পরিস্থিতির পর আইসি চেম্বারের কাজ শেষ করে নিজের কোয়ার্টারে ফিরে যান। রবিবার সকালে তিনি মনিটর ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলেও ছায়া দেখতে পাননি। তবে, রাতে সিসি ক্যামেরায় কিসের ছায়া ধরা পড়ছিল, ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না থানার পুলিসকর্মীরা।

    রাতে সিসি ক্যামেরায় কী দেখা যাচ্ছিল তার জন্য অবশ্য কোনও তদন্ত হচ্ছে না। আইসি অভিষেক তালুকদার বলেন, চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম। সেই সময় মানুষের মতো কারও ছায়া বার বার আসা যাওয়া করছিল।  কয়েকবার এমন হওয়ার পর সহকর্মীদের বিষয়টি দেখিয়েছিলাম। রাতে বৃষ্টি হওয়ায় আর মনিটর দেখা হয়ে ওঠেনি। যেদিকে আমরা গাড়ি রাখি সেদিকের একটি ক্যামেরা থেকে ছায়া দেখা যাচ্ছিল। সিসি ক্যামেরা টেকনিশিয়ানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ছবি দেখে তিনি জানিয়েছেন টেকনিক্যাল সমস্যা নেই। ফের এমন হলে জানাতে বলেছেন।  

    পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সম্পাদক অনিমেষ লাহিড়ীর কথায়, অলৌকিক ঘটনা বলে কিছু হয় না। কুসংস্কার থেকে মানুষের মধ্যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভয় তৈরি হয়। মনে হয় ওই ক্যামেরার আশপাশ দিয়ে গাছের পাতা বা পোকামাকড়ের ছায়া এমন ভাবে পড়েছে, যা একটু অন্যরকম মনে হয়েছিল। -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)