• রানওয়ের চারপাশ ঢেকেছে জঙ্গলে, সিভিকদের টেন্টে ঢুকছে সাপ, শিয়াল
    বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: এক ঝলক দেখলে মনে হবে বিমানবন্দর নয়, যেন বিশাল জঙ্গল। রাস্তায় বিশাল গাছপালা ও জঙ্গল। সেখানে ঘুরছে বিষধর সাপ, শিয়াল। ওই সাপ টেন্টে ঢুকে যাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে। পাশের জঙ্গল থেকে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ছে বন্যপ্রাণীরাও। ভিতরে থাকা পথবাতিগুলি এখন অকেজো। ফলে আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে বালুরঘাট বিমানবন্দর। বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট থানা লিখিত জানানোর পর জেলাশাসক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, পথবাতিগুলি জেলা পরিষদ ঠিক করবে। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যাগুলি মেটাতে ব্লকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট বিমানবন্দর দীর্ঘদিন আগে তৈরি হলেও বিমান নামে না। প্রায় সাত বছর আগে সব কাজ শেষ হয়েছে। রানওয়ে, ঘর, গেট, প্রাচীর, রাস্তার দু’পাশে লাইট সহ নানা কাজ হয়েছে।

    নিরাপত্তার জন্য গোটা বিমানবন্দরে সিসি ক্যামেরা থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দু’টি হাইমাস্ট থাকলেও সেখানে জঙ্গল হয়ে যাওয়ায় সেগুলি জ্বালানো যায়নি। সিভিক ভলান্টিয়াররা ২৪ ঘণ্টা বিমানবন্দর পাহারা দেন। কিন্তু সাপ, শিয়াল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর অত্যাচারে তাঁদের ডিউটি করাই মুশকিল। গত শনিবার সিভিকদের টেন্টে বড় বিষধর সাপ ঢুকে গিয়েছিল। তারপর আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, থানা থেকে আমাদের কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। বর্ষা বলে সাপের আনাগোনা কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই খুব ভয় লাগে। 

    শনিবার একটি সাপ ঢুকেছিল। কিন্তু এখন কোথায় রয়েছে বুঝতে পারছি না। বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল সম্ভব। কিন্তু চালু করার ব্যাপারে রাজ্য উদ্যোগ নেয়নি। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডুর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি। পাল্টা তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালের মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দরকে নতুন করে সাজিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র ও এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সদিচ্ছা নেই। বারবার পরিদর্শন করে নানা খুঁত বের করা হচ্ছে বলে চালু হচ্ছে না। 
  • Link to this news (বর্তমান)